ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রশ্নফাঁস নিয়ে টিআইবি প্রতিবেদন: ৬ মাধ্যমে ছড়ায় প্রশ্ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৫
প্রশ্নফাঁস নিয়ে টিআইবি প্রতিবেদন: ৬ মাধ্যমে ছড়ায় প্রশ্ন ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ৬টি মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

কোচিং সেন্টার, গাইড বই ব্যবসা, মোবাইল/ওয়েবসাইট/সামাজিক যোগাযোগ, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠী, ফটোকপির দোকান, শিক্ষার্থী/অভিভাবক/বন্ধু/স্বজনদের মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়াচ্ছে।



বুধবার (০৫ আগস্ট) ধানমন্ডির মাইডাস ভবনে টিআইবি কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে 'পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস: প্রক্রিয়া, কারণ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

গবেষক হিসেবে ছিলেন-নিহার রঞ্জন রায়, নীনা শামসুন নাহার, রুমানা শারমিন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার সব প্রশ্ন ফাঁস হয়।
 
প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপানো ও বিতরণ প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে ৪০টি ধাপে কর্মপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়াকে উল্লেখ করেন গবেষকরা।
 
প্রশ্নপত্র ফাঁসে সরকারি ও বেসরকারি অংশের জড়িত থাকার কথা বলছে প্রতিবেদনটি। সরকারি পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বিজি প্রেস, জেলা বা উপজেলা প্রশাসন, পরীক্ষা কেন্দ্র বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা থাকে।

বেসরকারি পর্যায়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতাকর্মী, কোচিং সেন্টার, গাইড বই ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীর আত্মীয় স্বজনের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

আর্থিক লেনদেন ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ওয়েবসাইটে যেমন প্রশ্ন ফাঁস হয়, আবার ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকাতেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকে।

ওই প্রতিবেদনে প্রশ্ন ফাঁসের কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টিকে অস্বীকার, এড়িয়ে যাওয়া, বিচার না হওয়া এবং তদারকির অভাবকে দায়ী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৫ (আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা)
এমএন/জেডএম/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ