ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জনিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ

নিজেই পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
নিজেই পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম সালাহ উদ্দিন আহমেদ

ঢাকা: স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নিজেই পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ভারতের মেঘালয়ে শিলং সিভিল হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার (১৫ মে) শিলং হাসপাতালে দেখা করতে গেলে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনিকে এ কথা জানান তিনি।



তবে সোমবার (১১ মে) সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর শিলং পুলিশ বলেছিলো, তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা এ বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছিল।

শিলংয়ে অবস্থানরত আব্দুল লতিফ জনি শুক্রবার (১৫ মে) পুলিশের অনুমতি নিয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলেন। তবে তার সঙ্গে আর কী কী কথা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষাতের পরপরই ঢাকায় অবস্থানরত সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন আব্দুল লতিফ জনি। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

অবশ্য এ ব্যাপারে মিডিয়ার সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না হাসিনা আহমেদ। শুক্রবার রাতে কয়েক দফা ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি তিনি।   

সালাহ উদ্দিনের পরিবারের এক ঘনিষ্ঠজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, আপাতত কথা কম বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাসিনা আহমেদ। বেশি কথা বলে রাজনৈতিক ধুম্রজালে জড়িয়ে স্বামীকে ফিরে পাওয়ার পথ আর জটিল করতে চান না তিনি। এখন তার একটাই চাওয়া, যতো দ্রুত সম্ভব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে সুস্থ শরীরে দেশে ফিরিয়ে আনা।  

এদিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ঢাকা থেকে ‘অপহরণ’ করার পর দীর্ঘ সময় একটি ছোট কক্ষে আটক রাখা হয়েছিলো বলে শিলং পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৫ মে) শিলং পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ তাদের বলেছেন, ঢাকা থেকে অপহরণের পর অপহরণকারীরা তাকে একটি ছোট কক্ষে আটক রাখে। পরে তার চোখ বেঁধে কয়েকদিন ধরে গাড়িতে বিভিন্ন স্থানে ঘোরানো হয় ও সে সময় তারা বারবার গাড়ি বদলায়।

সোমবার (১১ মে) সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবারই প্রথম তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিলং পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক অবস্থায় অনেক তথ্যই বের করতে পেরেছে বলে পুলিশ জানায়।

শিলং পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অপহৃত হওয়ার পরের ঘটনা নিয়ে কিছু মনে করতে পারছেন না বলে সালাহ উদ্দিন প্রথমে বলেছিলেন। তবে এখন তিনি বলছেন, প্রায় দুই মাসের মতো বাংলাদেশের কোথাও একটি বাড়ির ছোট একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।

সালাহ উদ্দিনের বক্তব্যে কিছু অসামঞ্জস্যতা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে শিলং পুলিশ। বক্তব্য যাচাইয়ের জন্য  আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।

শিলং পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে  বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের করেছি। আমাদের বের করতে হবে, কীভাবে তিনি সীমান্ত পার হলেন। তিনি নিজে সীমান্ত পার হয়েছেন, নাকি অপহরণকারীরা তাকে এখানে এনে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনা যেটাই ঘটুক না কেন, বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃশ্চিন্তার।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫
এজেড/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ