ঢাকা: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুত মানবিক সহায়তার শেষ চালান গিয়ে পৌঁছেছে।
শুক্রবার সকালে প্রতিশ্রুত ১০ হাজার মেট্রিক টন চালের শেষ চালানটি নেপালের কাকারভিত্তাতে পৌঁছায় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সটার্নাল পাবলিসিটি উইংয়ের পরিচালক (মিডিয়া) নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুত মানবিক সহায়তার ১০ হাজার মেট্রিক টন চালের সবকটি চালান নেপালের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছালো।
বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, ৬ মে বাংলাদেশ থেকে প্রথম চালবাহী ট্রাক নেপালে যায়। ১০ হাজার টন চাল পরিবহনের জন্য মোট ৫২১টি ট্রাক ব্যবহার করা হয়। এ চালবাহী এ ট্রাকগুলো বাংলাবান্ধা হয়ে নেপালের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছায়।
এদিকে, শুক্রবার সকালে চালবাহী ট্রাকের চাল নেপালের ঝাপা জেলার সহকারী সিডিও কমল বি. থাপার হাতে সোপর্দ করা হয়।
২৫ এপ্রিলের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ৪ এপ্রিলের মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেপালে মানবিক সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ৬ মে থেকে নেপালে এ ত্রাণ সহায়তা পাঠানো শুরু হয়। ১৫ মে এ ত্রাণসহায়তা পাঠানো শেষ হয়।
চাল সহায়তা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ৮৫০টি তাঁবু, ২৫৪ তারপলিন, ২০ রোল পলিথিন, ৬৬টি প্লাস্টিক ম্যাট, ছয় হাজার পাঁচশ লিটার বোতলের পানি, ছয় হাজার সাতশ কেজি ওষুধ ও ওষুধ সামগ্রী, ৯০ কেজি তুলা, ৪৫ কেজি ব্যান্ডেজ, ১০ বোতল স্যাভলন, এক হাজার সাতশ ৫০ লিটার ব্লিচিং পাউডার, ৭৭ কার্টন তৈরি পোশাক, দুই হাজার তিনশ বাক্সভর্তি বিস্কুট ও শুকনা খাবার নেপালে পাঠানো হয়।
এ সব ত্রাণ সামগ্রী বিমানে করে ২৬ এপ্রিল, ১ মে, ৩ মে, ৭ মে ও ৯ মে বিমানে করে নেপালে পাঠানো হয়।
এ ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে ত্রাণসহায়তা পাঠানো হয়েছে।
২৫ এপ্রিল দুপুরে নেপালে রিখটার স্কেলে ৭.৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানিসহ হাজার হাজার বাড়িঘর মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
বিজ্ঞপ্তি/এবি