ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তাহেরপুরে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে প্রবাসীর স্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
তাহেরপুরে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে প্রবাসীর স্ত্রীর

রাজশাহী: রাজশাহীর তাহেরপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন সোনিয়া নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী।

এক মাস আগে রাতের আঁধারে বাড়িতে দু’দফা আগুন দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টাও চালানো হয়।

নিজের নিরাপত্তাসহ পাওনা টাকা উদ্ধারে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সাবিনা ইয়াসমিন সোনিয়ার অভিযোগ, অর্থ আত্মসাৎকারী ও হুমকিদাতা আকরাম হোসেন স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় বাগমারা থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো আকরামকে আটক না করে তাকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে পুলিশ।
 
থাইল্যান্ড প্রবাসী তাহেরপুর পৌরসভা বাছিয়াপাড়ার শহিদুল আলম বাবুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সোনিয়ার ‘সানী-তিশা গ্যাস হাউজ’ নামে একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাহেরপুর বাজারে অবস্থিত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোনিয়া নিজেই দেখাশুনা করেন। তার দুই ছেলে-মেয়ে লেখাপড়ার সুবাদে তাহেরপুরের বাইরে থাকে।

সোনিয়া ও তার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের এপ্রিলে এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা বলে এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা ধার নেন রামরামা গ্রামের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আকরাম ও তার ভাই আক্কাছ।

সোনিয়ার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের সামনে তাদের পেঁয়াজের আড়ৎ রয়েছে। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর পাওনা টাকা ফেরত দিতে বললে তারা দুইবারে ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি এক লাখ ৮ হাজার টাকা তারা এখনো ফেরত দেননি।

এ নিয়ে ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবরে তাহেরপুর বণিক সমিতিতে সালিশ ডাকা হয়। কিন্তু সে বৈঠকে আকরাম ও আক্কাছ হাজির হননি। এরপর বণিক সমিতির ওই সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সোনিয়া বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর থেকে সোনিয়াকে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়।

সোনিয়া  বলেন, বাগমারা থানা-পুলিশের কোনো সহযোগিতা না পেয়ে গত ১৩ এপ্রিল রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির কাছে নিজের নিরাপত্তা ও ধারের টাকা উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করেন। ডিআইজি এ সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। এরপর জেলা পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত করে বাগমারা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

কিন্তু এখন পর্যন্ত থানা-পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সোনিয়া।

তবে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবাইদা বলেন, সোনিয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় আকরামের বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৫
এসএস/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ