ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দশ বছরে এসেছে ২০ হাজার প্রবাসীর লাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
দশ বছরে এসেছে ২০ হাজার প্রবাসীর লাশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গত ১০ বছরে দেশে ২০ হাজার প্রবাসী শ্রমিকের লাশ এসেছে বলে দাবি করেছে গণসংহতি আন্দোলন। এসব শ্রমিকদের বড় অংশের মৃত্যুর কারণ কর্মস্থলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থতা, বাসস্থান ও খাদ্য সঙ্কট, কর্মস্থলে শারীরিক নিপীড়ন, স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলা, গ্রেফতারের আতঙ্ক উল্লেখ করে দলটি বলছে এ মৃত্যু অস্বাভাবিক।


 
বৃহস্পতিবার(১৪ মে’২০১৫)ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে(ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মানব পাচার, অভিবাসী শ্রমিক এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি করা হয়।
 
আলোচনা সভায় মানব পাচার, অভিবাসী শ্রমিক এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তার চিত্র তুলে ধরেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
 
তিনি বলেন, গোপনে পাচারের সময় মালবাহী ট্রাকে বা জাহাজের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে, জাহাজডুবিতে, সীমান্তরক্ষীর তাড়া খেয়ে বরফে জমে কত বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই।
 
সরকারি একটি তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে ৫৬টি দেশ থেকে লাশ এসেছে ১৩ হাজার ৮৭২ জন প্রবাসীর। এর আগে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সময়ে আসে ৬ হাজার ১৭টি লাশ। আর ২০০০ সাল পরন্ত আসে ৩ হাজার ৬১৩টি লাশ।

ইন্টারন্যাশলাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন’র ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, পৃথিবীর মধ্যে সবচে খারাপ শ্রমপরিবেশের দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া ‍অন্যতম। এই তালিকাতে এর চেয়ে নিকৃষ্টতর স্থান পেয়েছে কেবলমাত্র সামরিক শাসন বা যুদ্ধপরিস্থিতি থাকা দেশগুলো।
 
নিয়োগকারী রাষ্ট্রগুলো অবৈধ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক নিয়ে যাওয়াকে উৎসাহিত করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ শ্রমিকরা আইনগত অধিকার পায় না, কম মজুরিতে এদের নিয়োগ করা যায়। যে কোন সময়ে এদেরকে বহিষ্কার ও শাস্তি দেওয়া যায়। তাই তারা এই প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে।

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল, ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
এএসএস/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ