ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রামপুরায় মিন্টু হত্যা

খুনের নেপথ্যে মাদক ও আধিপত্য বিস্তার : আটক ১

ইমরান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
খুনের নেপথ্যে মাদক ও আধিপত্য বিস্তার : আটক ১ ছবি : প্রতীকী

ঢাকা: মাদক ব্যবসাসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই খুন করা হয়েছে রামপুরার তথা রাজধানীর অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাজাদার এক সময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড রুবেল ওরফে মিন্টুকে।
 
আলোচিত এই খুনের সঙ্গে জড়িত এজাহারভূক্ত আসামী জহির ওরফে মাইছ্যা জহিরকে গ্রেফতারের পর সে পুলিশের নিকট এমন-ই তথ্য দিয়েছে।


 
তবে এই বিষয়ে আরো তথ্য পেতে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 
রামপুরা থানার অপারেশন অফিসার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য  নিশ্চিত করেন।
 
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিন্টু এলাকা ও পুলিশের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসী। কারাগারে থাকা রাজধানী ও রামপুরার অন্যতম সন্ত্রাসী শাহজাদার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করতো।

মিন্টু মাদক ব্যবসা, এ ব্লকের বাজার চাঁদাবাজি, লেগুনা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, ব্রিজ পারাপারে চাঁদাবাজি, রামপুরা এলাকার ডেভেলপার ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি, গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন স্থান হতে চাঁদাবাজির অর্থ শাহজাদার লোককে দিত। প্রায় অর্ধ শতাধিক সহযোগী নিয়ে মিন্টুর একটি বড় গ্রুপ এই সকল অপকর্ম করত।
 
লোকজন জানান, মাস দুয়েক আগে মিন্টু জেল থেকে জামিনে ছাড়া পায়। এরপর দল ভারি করতে সন্ত্রাসী শাহআলম ও জহির ওরফে মাইছ্যা জহিরের সঙ্গে জেলখানায় গিয়ে শাহজাদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর শাহআলম ও জহির মিন্টুকে বাদ দিয়েই তারা দেখা করত শাহজাদার সঙ্গে। এক পর্যায়ে মিন্টু শাহআলমের মধ্যে নিজেদের আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ বাধে।
 
লোকজন জানায়, মিন্টু শাহআলমকে তার এলাকায় ঢুকতে দেবে না বলেও হুমকি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে শাহআলম শাহাজাদার সঙ্গে দেখা করে। শাহজাদার সঙ্গে দেখা করে এসেই গত শুক্রবার ৮ মে বিকেলে তার দলবল নিয়ে কুঞ্জবন এলাকায় যায়। এরপর ফোনে মিন্টুকে ডেকে নিয়ে বাসার বাইরে প্রকাশ্যই গুলি করে হত্যা করে চলে যায়।
 
এদিকে ঘটনার পরদিন শনিবার মিন্টুর মা নাসিমা বেগম  শাহআলম, জহির ওরফে মাইছ্যা জহির, রাকিব ও পিচ্চি আলামিনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
রামপুরা থানার অপারেশন অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাদক ব্যবসাসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নিহত  মিন্টুর বিরুদ্ধেও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
 
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমরা এজাহারভূক্ত আসামি জহির ওরফে মাইছ্যা জহিরকে আটক করা হয়েছে। সে প্রাথমিকভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি।
 
তিনি বলেন, মিন্টুকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আসলে মামলা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য পাওয়া যাওয়া যাবে। তিনি বলেন, এজাহারভূক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
 
এদিকে মামলার ছায়া তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও।
 
গোয়েন্দা বিভাগের পূর্ব খিলগাঁও জোনাল টিমের সহকারী কমিশনার ইকবাল হোছাইন বাংলানিউজকে বলেন, দুই সন্ত্রাসী গ্রুপকে গ্রেফতারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
 
তিনি বলেন, হত্যায় জড়িতরা চিহ্নিত হয়ে গেছে। এখন তাদের গ্রেফতারের পালা। এজাহারভূক্ত ও এজাহার বহির্ভূতদের গ্রেফতারে আমরা মাঠে কাজ করছি।    

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
আইএ/কেজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ