ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মানবপাচার রোধে তৎপর সরকার

এস এম আববাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
মানবপাচার রোধে তৎপর সরকার প্রতীকী

ঢাকা: থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় মানবপাচার প্রতিরোধে নড়েচড়ে বসেছে সরকার।

এ জন্য কক্সবাজারের টেকনাফ, মহেশখালী এবং রংপুরে সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পথে পাচার ঠেকাতে বিজিবির টহল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গণসচেতনতা বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে।

তাৎক্ষণিক এ ব্যবস্থার পাশাপাশি আগের নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও সরকারের তৎপরতা বাড়ানো হয়। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাচার ঠেকাতে মহাপরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এছাড়া তিনটি বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করে ভোটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবপাচার প্রতিরোধ ও নারী শিশু পাচার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্তের বিষয় উঠে আসে।

দিনভর মানবপাচার প্রতিরোধ সম্পর্কিত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটির বৈঠক চলে দফায় দফায়। এছাড়া নারী ও শিশু পাচার সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বৈঠকও চলে কয়েক দাফায়।

প্রথম বৈঠকে মানবপাচার প্রতিরোধে নেওয়া সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, মানবপাচার বিরোধী আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠিত হয়েছে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘জেলা মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটি’ (সিটিসি) গঠনের মাধ্যমে সরকার শক্তিশালী কাঠামো গঠন করেছে। প্রণীত আইন ও কমিটিগুলোর সার্বিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ‘জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৫-২০১৭ প্রণয়ণ করা হয়েছে।   শিগগিরই এ জাতীয় পরিকল্পনা উন্মোচন করা হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনে আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। পাচার ঠেকাতে গণসচেতনতা বাড়ানোসহ পাচারকারী চক্র চিহ্নিত করতে সরকার কাজ করবে।

বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মনিম বলেন, থাইল্যান্ড ও মালেশিয়ায় মানবপাচার ঠেকাতে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বৈঠক করে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।  

মনিম বলেন, ভয়াবহতার অবস্থা না জেনে স্বেচ্ছায় পাচার হচ্ছে মানুষ। ভাবছে সাগরের ওপারে স্বপ্ন আছে। মানুষকে তাই সচেতন করা জরুরি। ইতোমধ্যে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।     

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স মানবপাচার প্রতিরোধ কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং মনিটরিং অব্যাহত রাখা হয়েছে।

বৈঠকে আরো জানা গেছে, পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিত না করতে পারায় পাচার প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। পাচার সংক্রান্ত মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতেও সুপারিশ করা হয় বৈঠকৈ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
এসএমএ/কেএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ