রংপুর: রংপুর সদর উপজেলার ৯ নম্বর সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় লোকমান হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর ব্যালট বাক্স জেলা নির্বাচন অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত লোকমান চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মতিনের সমর্থক। তিনি ইউনিয়নের দোলাপাড়া এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শামীম ছয় জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তারা হলেন- আনোয়ার (৩৫), সবুজ (২০), রেজা্উল (২৫), শাহআলম (২২), মতিন (৫৫) ও সরদার (৪০)।
এছাড়া, পুলিশ কনস্টেবল জাকারিয়া, আনসারুল ও এসআই মাহবুবুল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ইউনুস নামে এক ব্যক্তি জানান, ভোট গণণার শেষ দিকে ফলাফল ঘোষণা দেরি করার অভিযোগে উপস্থিত লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে হ্ট্টগোল শুরু হয়। এতে দুই চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, বিক্ষুব্ধ লোকজন ভোটকেন্দ্রে আক্রমণ করতে গেলে, দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা বাধা দেয়। এতে তাদের মারধর শুরু করে বিক্ষুব্ধরা।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতা লক্ষ করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে বিক্ষুব্ধরা আরো মারমুখী হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫ /আপডেটেড: ০০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫