ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মোক্তার মোল্লা (৩৫) নামের এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। মোক্তার উপজেলার কোনাগ্রামের মৃত আকরাম ডাকাতের ছেলে।
রোববার (১৫ মার্চ’২০১৫) রাত ২টার দিকে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
একই গ্রামের রফিক ফকিরের ছেলে জাকির ফকিরের চরের পাড়ের বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ডিবি ও থানা পুলিশ তাদের ঘেরাও করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে।
এসময় বোমা বিষ্ফোরিত হয়ে জাকির হোসেন (৩২) নামের ডাকাত মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয় জনতার সহায়তায় রাতেই পুলিশ তাদের আটক করে। এসময় জনতাও তাদের গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে আহতরা হলো- হারুন (৪০), পাতিয়ার শেখ (২৫) ও ইয়ারুপ (৩২)। এদের মধ্যে জাকির হোসেনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে রাতেই মোক্তারকে নিয়ে উপজেলার ওই গ্রামে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে বন্দুক যুদ্ধে মোক্তারের মৃত্যু হয়। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বন্দুকযুদ্ধে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন- এসআই মাহামুদ হোসেন, পুলিশ সদস্য সুবোধ কুমার বিশ্বাস ও লোকমান হোসেন। বাড়ির মালিক জাকির ফকির পলাতক রয়েছে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১টি বোমা, বোমা বানানোর সরঞ্জাম ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
ডাকাতরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুড়াইচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পান্নু শেখ জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জয়দেবপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি সময় বোমা বিস্ফোরণে এক ডাকাতের হাতের কব্জি উড়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ডাকাতদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫