কাঠমান্ডু (নেপাল) থেকে: দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু উপত্যকায় বসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের মিলনমেলা।
সম্মেলনের বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে জড়ো হয়েছেন তিন শতাধিক বিদেশি সাংবাদিক।
আগামী ২৬-২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। স্বাগতিক দেশ হিসেবে হিমালয়কন্যা নেপালে তৃতীয়বারের মতো বসেছে এই আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলন। এর আগে ১৯৮৭ ও ২০০২ সালেবো দেশটি আয়োজন করে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের।
আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহে ইচ্ছুক বিদেশি সাংবাদিকদের প্রেস ও সিকিউরিটি পাশ গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
পাসপোর্টের কপি,কর্তৃপক্ষের সম্মতিপত্র ও আবেদনকারীর ছবি দিয়ে অনলাইনেই আবেদন করা যায়। এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করছে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়।
এবার সার্ক নিয়ে রেডর্ক সংখ্যক বিদেশি সাংবাদিকের আগ্রহকে বেশ ইতিবাচক বলছে নেপালের তথ্য মন্ত্রণালয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক লক্ষ্মী বিলাস কৈরালা বাংলানিউজকে তিনি জানালেন, সার্কের সদস্য দেশগুলো ছাড়াও ৯টি পর্যবেক্ষক দেশের সাংবাদিক এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা এবার নেপালে এসেছেন। আমরা সকলকে জানাই উষ্ণ অভ্যর্থনা। সার্ক এ-অঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সার্কের সফলতার ধারাবাহিকতাকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি সাংবাদিকদের আগমন সেকথাই বলে--যোগ করেন শ্রী কৈরালা।
সম্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন ১ হাজার ১ শ’ ৭৬ জন সাংবাদিক। রোববার সকাল পর্যন্ত প্রস্তুত ও ইস্যু করা হয়েছে ১ হাজারের বেশি প্রেস পাস। এদের ৩২৫ জনই বিদেশি সাংবাদিক। আর ২৭৫ জনই এসেছেন সার্কভূক্ত দেশগুলো থেকে।
অষ্টাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন নেপাল টেলিভিশন এবং রেডিও সরাসরি সম্প্রচার করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেল সম্মেলনের মূল পর্ব সরাসরি সম্প্রচার করতে পারে বলে জানিয়েছেন এখানে আসা বেশ ক’জন গণমাধ্যমকর্মী।
দেশটির তথ্য অধিদপ্তর হোটেল রেডিসনে স্থাপন করেছে মিডিয়া সেন্টার। এখান থেকেই সাংবাদিকদের প্রেস পাস ও নিরাপত্তা পাস দেয়া হচ্ছে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ মিডিয়া সেন্টারে রয়েছে ফ্রি ওয়াই ফাই সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু কম্পিউটার। ব্রিফিং হলসহ আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা তো আছেই।
আট দেশের সার্ক সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী একটি মিডিয়ার একজন সাংবাদিক ও আলোকচিত্র সাংবাদিককে সিটি হল ও সম্মেলনস্থলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। সিটি হলে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক আলোচনাসভার ভিডিওচিত্র ধারণে বেসরকারি মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।
এ ছাড়াও ফটো সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মতিঘর,বানেশ্বর,তিনকুনি ও সল্টি হোটেলে। পাশাপাশি ভিভিআইপিরা উপস্থিত থাকবেন এমন স্থানগুলোতেও রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
আর এতসব আয়োজনের জন্যে নেপাল সরকার তথ্য অধিদপ্তরের জন্যে বরাদ্দ করেছে সাত লাখ নেপালি রুপি।
সম্মেলনে বাংলাদেশি সাংবাদিক হিসেবে সর্বপ্রথম নিবন্ধিত হয়েছেন এসএ টিভির মজনু হোসেন। আর ১২৯ নম্বর সিরিয়ালে সর্বশেষ নামটি সালাহউদ্দিন বাবুলের। সার্কভূক্ত দেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, দক্ষিন কোরিয়া, জাপান, স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকরা যোগ দিচ্ছেন এ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪