ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদার জন্য রাণীর সাজে সেজেছে বনলতার শহর

আসাদ জামান ও স্বপন দাস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৪
খালেদার জন্য রাণীর সাজে সেজেছে বনলতার শহর ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নাটোর থেকে: বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে রাণীর সাজে সেজেছে বনলতা সেনের শহর নাটোর।
 
শহরের মূল প্রবেশ পথ হরিসপুর বাইপাস সড়ক থেকে শুরু করে করে সমাবেশস্থল নবাব সিরাজ উদ দৌলা কলেজ মাঠ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা লাল, নীল, বেগুনি, সাদা, সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের লাইটে বর্নিল করে তোলা হয়েছে।


 
স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে কোনো আয়োজনেরই কমতি রাখেননি।
 
তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে আয়োজকরা পুরো শহরটা যেভাবে সাজিয়েছে তা বর্ণনাতীত। শহরের চৌরাস্তা থেকে সভামঞ্চ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন শত তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাঁতীদল, ওলামাদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, শ্রমিকদলও মৎসবজীবী দলের নামে তৈরি করা হয়েছে আলাদা আলাদা তোরণ।
 
এসব তোরণে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশাল আকৃতির ছবির সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের ছবি সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
 
এছাড়া শহরের মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট স্টেজ নির্মাণ করে সেখানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিএনপির দলীয় প্রতীক জীবন্ত ধানগাছ। স্টেজগুলো আবার মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রং বে-রঙের কাপড় দিয়ে। পুরো সাজ-সজ্জায় ফুটে উঠেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। প্রকাশ পেয়েছে আয়োজকদের সাংস্কৃতিক রুচিবোধ।
 
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে পুরো শহর ঘুরে দেখা গেছে রাণীর সাজে সজ্জিত শহর দেখতে পরিবারের নানা বয়সী সদস্যদের নিয়ে ভিড় করছে স্থানীয় লোকজন। দর্শনার্থীরা বলছেন খালেদা জিয়ার নাটোর সফর শহর জুড়ে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে পুরো শহরটা সাজাতে কোটি টাকা খরচ করেছে আয়োজকরা। আর এ অর্থের যোগান দিয়েছে বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ী ও বিত্তবান শহরবাসীরা। পুরো বিষয়টি অয়োজন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
 
এদিকে বিএনপির পাশাপাশি ২০দলীয় জোটের শরিক জামায়াত ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপাসহ আরো কয়েকটি শরিকদল শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বেশ কয়েকটি তোরণ ও বিশাল আকৃতির পোস্টার টাঙিয়েছে। সেসব তোরণ ও পোস্টার নিজ নিজ দলের প্রধান ব্যক্তির ছবি সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
 
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে আয়োজকদের নান্দনিক এ আয়োজনে শহরবাসীর মধ্যে উৎসব উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। দল মত নির্বিশেষে বিষয়টিকে তারা উপভোগ করছেন।
 
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে হরিসপুর বাইপাস সড়কের মুদি দোকানী বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে স্থানীয় বিএনপি ও ২০দলীয় জোটের এই আয়োজন সবাই উপভোগ করছেন। ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীরাও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে, ক্ষেত্রবিশেষ সহযোগিতাও করছেন তারা।
 
তিনি বলেন, এটি বিএনপির কর্মসূচি হলেও নাটোরের ’সম্মান’ হিসেবে দেখছে সবাই। সে কারণেই হয়তো গণজাগরণ মঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
 
জানতে চাইলে স্থানীয় বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বাংলানিউজকে বলেন, শহর হিসেবে নাটোরের আলাদা একটা সুখ্যাতি ও ঐহিত্য রয়েছে। এ শহরকে সবাই বনলতার শহর হিসেবে জানে। নাটোর সব সময় সাংস্কৃতিক শহর হিসেবেই মূল্যায়িত হয়। তাই খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে শহরটিকে আরো নান্দনিক করার চেষ্টা করেছি। এ কাজে সহযোগিতাও পেয়েছি সবার।
 
মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ২০দলীয় জোট নাটোর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে শনিবার (১ নভেম্বর) নাটোর আসছেন খালেদা জিয়া।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা,  নভেম্বর ০১, ২০১৪ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ