ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সমুদ্রের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৪
সমুদ্রের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সংরক্ষণ এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার সকালে চট্টগ্রামের নেভাল বার্থে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে চার বছর নিয়োজিত থেকে দেশের জন্য অসামান্য সম্মান ও গৌরব বয়ে আনা জাহাজ, বানৌজা ‘ওসমান’ এর ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।



নৌবাহিনীর এ জাহাজটি দীর্ঘ ২৫ বছর দেশ-বিদেশে যে অসামান্য অবদান রেখেছে তারই স্বীকৃতিস্বরূপ এ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রয়েছে ৭১০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকা যেখানে প্রায় তিন কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল।

‘বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশের বাণিজ্যের ৯০ ভাগেরও বেশি সমুদ্রপথেই পরিচালিত হয়। সম্পদ আহরণ ও নিরাপদ বাণিজ্য নিশ্চিতে সমুদ্র এলাকার অনুকূল পরিস্থিতি নিশ্চিত ও নিরাপত্তা বিধান অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে নৌবাহিনীকেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। ’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে ২০১২ সালে মায়ানমারের সঙ্গে এবং চলতি বছর ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বিজয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্র এলাকা এবং এর সম্পদের উপরে আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এই সম্পদ আহরণসহ সমুদ্র এলাকার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে নৌবাহিনীকে আরো দক্ষ ও শক্তিশালী করতে সরকারের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানান শেখ হাসিনা, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের সময় মোট ১৬টি জাহাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযুক্ত হয়েছে। দুইটি হেলিকপ্টার ও দুইটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজন করা হয়েছে।

‘নেভাল এভিয়েশান ও Unconventional Warfare এর জন্য স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস্ কমিশন করা হয়েছে। একটি শক্তিশালী নৌবহর গঠনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক দুইটি করভেট চীনে নির্মাণাধীন রয়েছে। যা আগামী বছর নৌবহরে সংযোজিত হবে। দুইটি সাবমেরিনও আগামী বছরের মধ্যে নৌবাহিনীতে সংযোজিত হবে। ’

এছাড়াও পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় সাবমেরিন বার্থিং ও এভিয়েশান সুবিধা সম্বলিত নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটির কার্যপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রী।

নৌবাহিনী নিজস্ব অর্থায়নে খুলনা শিপইয়ার্ডে দুইটি কন্টেইনার শিপ, প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীর জন্য পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট তৈরির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এগুলো আমাদের নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আরও বড় আকারের এবং শক্তিশালী দুইটি বড় পেট্রোল ক্রাফট তৈরিও শুরু হয়েছে।

এ ধরনের প্রকল্প বিদেশের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে নৌবাহিনীকে শক্তিশালীকরণ ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য ১৯৭৪ সালে ‘দ্য টেরিটরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট” প্রণয়নের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

** মালালা, সত্যার্থীকে হাসিনার অভিনন্দন

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ