ঈশ্বরদী: ঈশ্বরদীতে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (২৩) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছেন রায়হান আলী (২৫) নামে এক যুবক।
এ ঘটনার পর থেকে রায়হানসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার জাফর আলীর ছেলে রায়হান আলীর সঙ্গে মোটা অংকের যৌতুকের বিনিময়ে পার্শ্ববর্তী লালপুর থানার টিটিয়া মাঝগ্রাম এলাকার সাইদার প্রামাণিকের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়।
বিয়ের দুই বছর পর থেকে সাবিনা তার বাবার বাড়ি থেকে বেশ কয়েকবার ‘ধার’ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা এনে রায়হানকে দিলেও তা ফেরত দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার সকালে আবারও বাবার বাড়ি থেকে সাবিনাকে ২০ হাজার টাকা ‘ধার’ হিসেবে এনে দিতে বললে সাবিনা তাতে অপারগতা জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান সাবিনাকে বেদম মারধর করে। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত সাবিনার বাবা সাইদার প্রামাণিক অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই টাকার জন্য তার মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু করে রায়হানসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এবার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। নিহত সাবিনার ভাই মিলন বাংলানিউজকে জানান, হত্যাকাণ্ডের পর রায়হান তার কাছে মোবাইল করে হত্যাকাণ্ডের জন্য তার পরিবার নয়, সে নিজেই দায়ী বলেন স্বীকার করেন। মিলন সেই কথাটি রেকর্ড করেছে বলেও জানান।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই আসল ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪