যশোর: যশোরে সন্ত্রাসী হামলায় এক যুবক নিহত ও মাদক মামলায় আটক এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের আঘাতে নিহত মিন্টুর (২৮) লাশ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের কাঁঠালতলা রায়পাড়ার ইউনুচ আলীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই সোমেন দাস তার লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। মিন্টু রায়পাড়ার এলাকার মৃত আবুল হাসেম হাওলাদারের ছেলে।
অপরদিকে, মাদক মামলায় আটক আরমান (৩২) নামে এক হাজতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শনিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে আরমানকেহাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে যশোর মেডিকেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আরমান শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে। গত ১৮ আগস্ট ফেনসিডিলসহ র্যাবের হাতে ধরা পড়েন আরমান। সেই মামলায় হাজতে ছিলেন। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন বলে পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মিন্টুর ভাই আলী হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে একই এলাকার বরকত আলীর ছেলে বাবু ও আব্দুল বারেকের ছেলে মাসুম তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর সে বাড়িতে ফেরেনি। তাকে চারদিকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইউনুচ আলীর পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদের উপর মিন্টুর লাশ পাওয়া যায়।
তার মাথার বাম পাশে কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাবু ও মাসুমের সঙ্গে মিন্টুর পূর্ব বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, মিন্টু পেশাদার হিসেবে চুরি ছিনতাই করে বেড়াতো। তার প্রতিপক্ষের একই পেশার লোকজন তাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৪