ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আব্বাসকে শাসালেন খালেদা

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৪
আব্বাসকে শাসালেন খালেদা খালেদা জিয়া ও মির্জা আব্বাস

ঢাকা: হাবীব-উন নবী খান সোহেলকে সরিয়ে তার জায়াগায় সিনিয়র একজনকে বসানোর প্রস্তাব দিয়ে খালেদা জিয়ার ধমক খেলেন মির্জা আব্বাস।

শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।



সূত্র জানায়, ঈদের ছুটি কাটিয়ে এদিন রাতে যথারীতি গুলশান অফিসে আসেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার অফিস আসার খবর শুনে নব গঠিত ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস নিজের অনুসারীদের নিয়ে গুলশান অফিসে যান। সদস্য সচিব হাবীব-উন নবী খান সোহেলও কয়েকজন অনুসারী নিয়ে গুলশান অফিসে যান।

রাত ৯টায় অফিসে ঢোকার পর সাড়ে ৯টার দিকে খালেদা জিয়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও সদস্য বরকত উল্লাহ বুলুকে নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন।

সূত্র মতে, ওই তিন নেতা বের হওয়ার পর অপেক্ষমান মির্জা আব্বাস খালেদা জিয়ার কক্ষে না ঢুকে ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশার ও এম এ কাইয়ুম-কে পাঠান।

সাদেক হোসেন খোকার খাস লোক হিসেবে পরিচিত এ দুই নেতা মির্জা আব্বাসের শেখানো কথা মতো হাবীব-উন নবী খান সোহেলের জায়গায় অন্য কোনো সিনিয়র নেতাকে মহানগরের সদস্য সচিব করার বিষয়টি খালেদা জিয়াকে বিবেচনার অনুরোধ জানান।  

বাশার ও কাইয়ুমের এ প্রস্তাব শোনার পর ক্ষুব্ধ খালেদা জিয়া বলে ওঠেন, তোমাদের আব্বাস কোথায়?  সে এখানে আসছে না কেন? তাকে আসতে বলো।

এরপর মির্জা আব্বাস চেয়ারপারসনের কক্ষে ঢুকলে খালেদা জিয়া তার উদ্দেশে বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সালাউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ তোমার পছন্দের প্রায় সবাকেই দিলাম। পাশাপাশি তোমাকে সহযোগিতা করার জন্য সোহেলকে দেওয়া হলো। কিন্তু তুমি তাকে মেনে নিতে পারছো না।
 
এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ খালেদা জিয়া বলে ওঠেন, ঠিক আছে, আমার কোনো কিছুই যখন তোমাদের ভালো লাগছে না, তাহলে তোমরাই দল চালাও। আমি সরে যাই।  

খালেদা জিয়ার এমন অবস্থানের পর অনেকটা অপ্রস্তুত মির্জা আব্বাস আমতা আমতা করে বলেন, ঠিক আছে ম্যাডাম আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো। আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

সূত্র আরো জানায়, রাত ১টার পর খালেদা জিয়া অফিস থেকে বের হবার কিছুক্ষণ আগে হাবীব উন নবী খান সোহেল তার সঙ্গে দেখা করেন। সোহেল ঢাকা মহানগর অফিস থেকে তার নেমপ্লেট সরিয়ে ফেলাসহ গত ১৫ দিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দিতে থাকেন। এ সময় খালেদা জিয়া বলেন, তোমাকে কিছু বলতে হবে না। সব কিছুই আমি জানি। তুমি তোমার কাজ করে যাও।

জানা গেছে, শনিবার মির্জা আব্বাসসহ ঢাকা মহানগরের বেশ কয়েকজন নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেও সেটি ছিল অনানুষ্ঠানিক। খুব শিগগিরই ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ওই বৈঠক থেকে আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে মহানগর নেতাদের দিক নির্দেশনা দেবেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ