ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রানা প্লাজা ধসে এখনো ১৮২ শ্রমিক নিখোঁজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৪
রানা প্লাজা ধসে এখনো ১৮২ শ্রমিক নিখোঁজ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গত বছরের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এখন ১৮২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। এর মধ্যে ১৪৬ জনের ডিএনএ ও কবর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আর ৩৬ জনের ডিএনএ শনাক্ত হলেও তাদের যোগাযোগের ঠিকানা ও ফোন নম্বরের গরমিল রয়েছে।
 
শনিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। রানা প্লাজার নিখোঁজ শ্রমিকদের তালিকা প্রকাশ ও বছর পূর্তির কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে ১৪৬ জন শ্রমিকের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে বলা হয়, রানা প্লাজা ধসে এই শ্রমিকদের ডিএনএ অথবা কবর কোনোটিই পাওয়া যায়নি। এছাড়া পরিদর্শক কমিটির তালিকার ১৪৭ নম্বর থেকে ১৮৩ নম্বর পর্যন্ত ৩৬ জন শ্রমিকের যোগাযোগের ঠিকানা ও ফোন নম্বরে মিল নেই। সুতরাং সব মিলিয়ে রানা প্লাজা ধসে মোট ১৮২ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

এসব শ্রমিকের নামের তালিকা সরকার, সেনাবাহিনী, বিজিএমইএসহ যারা রানা প্লাজা নিয়ে কাজ করেছে এমন সংগঠনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
 
নিখোঁজদের অবিলম্বে নিহত ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আর কিছু দিন পরেই রানা প্লাজা ধসের এক বছর পূর্ণ হবে। অথচ এখনো নিখোঁজ শ্রমিকদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি বিজিএমইএতে রানা প্লাজার কারখানাগুলোর সেলারি শিট (মজুরি তালিকা) থাকলেও তারা প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করছে না।
 
ইতোমধ্যে নিখোঁজদের যেসব তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে গরমিল রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা আশা করেছিলাম সরকার যথাযথ তালিকা তৈরি করে শ্রমিকদের হয়রানি থেকে মুক্ত করবে। কিন্তু বেশিরভাগ তালিকা জনসাধারণের নাগালের বাইরে। আর যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে তাতে রয়েছে নানা অসঙ্গতি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে দু’টি ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ করা হলেও তাতেও নানা অসঙ্গতি রয়েছে।
 
সেনাবাহিনীর তৈরি করা তালিকা অপেক্ষাকৃত গোছানো উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ তালিকাতেও কিছু শ্রমিকের নামের পুনরাবৃত্তি আছে। সরকারের কারখানা পরিদর্শক কমিটি এবং সেনাবাহিনীর তালিকায় নাম নেই এমন অনেকের নাম প্রথম ডিএনএ রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়। তালিকায় নাম নেই অথচ ডিএনএ মিলেছে, এর অর্থ তালিকা দু’টির কোনোটিই পূর্ণাঙ্গ না।
 
নিখোঁজদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করে তাদেরকে জরুরি সহায়তা প্রদান করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসলিমা আখতার। এ সময় রানা প্লাজার নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা ‘সন্ধান চাই’ লেখা প্লাকার্ডসহ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ