ইনজুরি আর করোনা ভাইরাসের ছোবলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নিয়েই মাঠে নামলো ব্রাজিল। মাঠের খেলায়ও দেখা গেল টানা খেলার ক্লান্তির ছাপ।
মন্টেভিডিওতে বুধবার ভোরে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করল ব্রাজিলের দখলে।
ইনজুরি আক্রান্ত নেইমার, ফিলিপ্পে কৌতিনহো এবং ফাবিনহোকে ছাড়াই মাঠে নামে ব্রাজিল। করোনা পজিটিভ হওয়ায় ছিলেন না মাঝমাঠের প্রাণ কাসেমিরোও। মূল একাদশ সাজানো নিয়েই তাই বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন কোচ তিতে। অন্যদিকে তারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেসও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উরুগুয়েকেও বেশ ভুগতে হয়েছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই বেশকিছু গোছানো আক্রমণ করেছিল। কিন্তু গোল আসছিল না। এর মধ্যে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের নেওয়া দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক। কিছুক্ষণ পর দারউইন নুনেসের শট ক্রসবারে লাগলে নিশ্চিত গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় ব্রাজিল।
প্রথমার্ধের বিরতির আগে বেশ গোছালো খেলা উপহার দেয় ব্রাজিল। এর মধ্যে ৩৪তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় দলটি। জেসুসের পাসে মিডিফিল্ডার আর্থারের দূর থেকে নেওয়া শট উরুগুয়ের ডিফেন্ডার হোসে হিমেনেসের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। এর দুই মিনিট পর ফিরমিনোর শট উরুগুয়ের গোলরক্ষক মার্তিন কাম্পানিয়া ঠেকিয়ে দেন।
ব্রাজিলের ক্ষুরধার আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া উরুগুয়ে ৪৫তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে। এবার রেনান লোদির বাড়িয়ে দেওয়া ক্রসে লাফিয়ে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন এভারটনের ফরোয়ার্ড রিশার্লিসন।
প্রথমার্ধের ব্যর্থতা ভুলতে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ কিছু আক্রমণ করে উরুগুয়ে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাই পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। উল্টো ৭৩তম মিনিটে রিশার্লিসনকে পেছন থেকে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এদিনসন কাভানি। উরুগুয়ের সম্ভাবনাও সেখানেই শেষ হয়ে যায়। কারণ বাকি সময়ে দলটির আক্রমণভাগ ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে।
এই নিয়ে চার ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর্জেন্টিনা। ৪ ম্যাচে ২ জয় ও ২ হার নিয়ে পাঁচে নেমে গেছে উরুগুয়ে। আরেক ম্যাচে কলম্বিয়াকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া ইকুয়েডর ৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
এমএইচএম