প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকলেও বিরতির পর ম্যাচে নাটকীয়তার আভাস দিয়েছিল অলিম্পিয়াকোস। তবে সেই উত্তেজনা বেশিক্ষণ টেকেনি।
মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ৬–১ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এই জয় তাদের জন্য কেবল তিন পয়েন্টই নয়, সাম্প্রতিক দুই পরাজয়ের ধাক্কা সামলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ারও প্রতীক।
অক্টোবরের শুরুতে ঘরের মাঠে পিএসজির বিপক্ষে ২–১ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। এরপর লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে ৪–১ ব্যবধানে বড় পরাজয়। টানা দুই ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে গত শনিবার জিরোনার বিপক্ষে ঘরোয়া লিগে জয়ে ফিরেছিল তারা। আর এবার ইউরোপের মঞ্চেও ফিরে এলো পুরনো ছন্দে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল বার্সেলোনার আগ্রাসী মেজাজ। সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে দেন ফের্মিন লোপেস। ২০ মিনিটের মাথায় দানি গার্সিয়ার শটে বল ক্রসবারে লেগে ফিরে না এলে সমতায় ফিরতে পারত অলিম্পিয়াকোস।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা। ৩৮তম মিনিটে তরুণ দ্রো ফের্নান্দেসের পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ শটে দ্বিতীয় গোলটি করেন লোপেস।
বিরতির পর ৫০তম মিনিটে ডি-বক্সে এরিক গার্সিয়ার হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় অলিম্পিয়াকোস। স্পট কিক থেকে মরক্কোর ফরোয়ার্ড এল কাবি ব্যবধান কমান। কিন্তু চার মিনিট পরই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। মার্ক কাসাদোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন সান্তিয়াগো, ফলে ১০ জনে নেমে আসে গ্রিক ক্লাবটি।
একজন কম নিয়ে লড়াইয়ে টিকে থাকা তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। ৬৮তম মিনিটে র্যাশফোর্ডকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা, সেখান থেকে সফল শটে গোল করেন ইয়ামাল। এরপর দুই মিনিটের ব্যবধানে আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করে কাতালানরা।
৭৪তম মিনিটে আলেহান্দ্রো বাল্দের ছোট পাস ধরে শটে গোল করেন র্যাশফোর্ড। পরের মিনিটেই ডি-বক্সে বল পেয়ে হাফ ভলিতে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লোপেস। কোচ হান্সি ফ্লিক এরপর বিশ্রাম দেন ইয়ামালকে, তবু আক্রমণের ধার কমেনি।
৭৯তম মিনিটে পেদ্রির উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন র্যাশফোর্ড, দলের ষষ্ঠ গোলটি আসে তার পা থেকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে বার্সেলোনায় খেলা এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের এ নিয়ে আসরে গোল হলো চারটি।
তিন ম্যাচে দুই জয় ও ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলে বার্সেলোনা এখন দৃঢ় অবস্থানে। অন্যদিকে টানা পরাজয়ে আরও নিচে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছে অলিম্পিয়াকোস।
আরইউ