প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ম্যাচটা ছিল একেবারে সমানতালে। দুই দলই তখন ১০ জনে নেমে এসেছে, সমতা ফিরিয়ে লেভারকুজেনের খেলোয়াড়রাও যেন কিছুটা সাহস পেয়েছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঙ্গলবার রাতের এই ম্যাচে বায়ার লেভারকুজেনকে ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। নিজেদের মাঠে এমন পরাজয় লেভারকুজেন নিশ্চয় দীর্ঘদিন মনে রাখতে চাইবে না।
এ জয়ে তিন ম্যাচে শতভাগ সাফল্য ধরে রেখেছে পিএসজি। নয় পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রুপে শীর্ষে, গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ইন্টার মিলান ও আর্সেনাল রয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।
চোট কাটিয়ে ফেরা উসমান দেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে শুরু করেছিল পিএসজি। কিন্তু শুরুতেই তারা জানিয়ে দেয়, কারা মাঠের মালিক। সপ্তম মিনিটে কর্নারের সুযোগ থেকে নুনো মেন্দেসের ক্রসে হেড করে জাল খুঁজে নেন উইলিয়ান পাচো, এগিয়ে যায় প্যারিসের ক্লাবটি।
এরপর খেলার রূপ পাল্টে যায় প্রথমার্ধের শেষ দিকে। ৩৩তম মিনিটে লেভারকুজেনের মিডফিল্ডার রবের্ত আন্দগিশ বাজেভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। চার মিনিট পর পাল্টা আঘাত আসে পিএসজি শিবিরে। ডি-বক্সে কোফানাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ইল্লা জাবারনি।
ওই ফাউল থেকে পাওয়া পেনাল্টি থেকে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আলেইশ গার্সিয়া গোল করে সমতা ফেরান লেভারকুজেন। কিন্তু আনন্দটা টিকেছিল মাত্র কয়েক মিনিট। বিরতির আগেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় পিএসজি।
৪১তম মিনিটে ডি-বক্সে পাস পেয়ে নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল করে আবার এগিয়ে দেন দুয়ে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। মাঝের সময়ে লেভারকুজেনের ডিফেন্সের ভুলে খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়া জোরাল শটে করেন দলের তৃতীয় গোলটি।
বিরতির পরও দাপট দেখিয়েছে পিএসজি। ৫০তম মিনিটে নুনো মেন্দেস স্কোর বাড়ান ৫-১ এ। এরপর ৬৬তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই গোল পান ব্যালন দ’অর জয়ী উসমান দেম্বেলে। শেষ মুহূর্তে স্কোরলাইনের শেষ সংযোজন করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া। তার গোলেই ৭-২ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে পিএসজি।
এ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে পিএসজির অবস্থান আরও মজবুত হলো। বিপরীতে লেভারকুজেনের জন্য রাতটা রয়ে গেল এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন হিসেবে। যেখানে লাল কার্ডের শুরুর পরিণতি শেষ হয়েছে গোলের বন্যায় ডুবে।
আরইউ