ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফুটবল

আবারও স্থগিতাদেশের মুখে ভারতীয় ফুটবল, কড়া অবস্থানে ফিফা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২৫, আগস্ট ২৭, ২০২৫
আবারও স্থগিতাদেশের মুখে ভারতীয় ফুটবল, কড়া অবস্থানে ফিফা সংগৃহীত ছবি

ভারতীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) আবারও ফিফার শাস্তির মুখে। বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এবার সরাসরি সতর্ক করেছে যে, সংবিধান সংশোধন ও কার্যকর না হলে এআইএফএফকে স্থগিতাদেশের মুখে পড়তে হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, এআইএফএফ’কে পাঠানো চিঠিতে ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, ৩০ আগস্টের মধ্যে নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় ফিফা শাস্তি দেবে। একটি কড়া ভাষার চিঠিতে ফিফা এআইএফএফ-কে মনে করিয়ে দিয়েছে, তাদের অবশ্যই স্বাধীনভাবে সংস্থার কার্যক্রম চালাতে হবে এবং কোনোভাবেই সরকারের মতো বাহ্যিক বা তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।

আগামীকাল (২৮ আগস্ট) ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। ফিফা চায়, সেদিনই আদালত এআইএফএফের সংবিধান অনুমোদন করুক। পাশাপাশি সংবিধানকে ফিফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)-এর গঠনতন্ত্র ও বিধির সঙ্গে মিল রেখে সাজাতে বলা হয়েছে।

ফিফার চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘসূত্রিতা একটি শাসন ও পরিচালন সংকট তৈরি করেছে। দেশীয় প্রতিযোগিতার ক্যালেন্ডার নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে; ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পর বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হয়নি; আর উন্নয়ন, প্রতিযোগিতা ও বিপণনসংক্রান্ত কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে, যা ভারতীয় ফুটবলের পরিবেশকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) খেলা ফুটবলাররা, যারা এআইএফএফের অধীনে থাকা ক্লাবগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ’

এআইএফএফ ও ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল)-এর মধ্যে অচলাবস্থার কারণে ২০২৫-২৬ মৌসুমের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সূচি চূড়ান্ত করা যায়নি। এ কারণেই উভয় পক্ষকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ফিফা তার চিঠিতে স্পষ্ট করেছে, সংবিধান চূড়ান্ত না হলে এবং তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ না সরালে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তারা লিখেছে, ‘এই শর্ত মানতে ব্যর্থ হলে ফিফা ও এএফসি-র গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত শাস্তি কার্যকর হতে পারে, যার মধ্যে স্থগিতাদেশ অন্যতম। এমনকি যদি সংস্থা সরাসরি দায়ী না-ও হয়, তৃতীয় পক্ষের প্রভাব থাকলে সদস্যসংস্থা শাস্তি পেতে পারে। এআইএফএফ স্থগিত হলে ফিফা ও এএফসি সদস্য হিসেবে তার সব অধিকার হারাবে। ’

ফিফা আরও জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের সংগঠন ফিফপ্রো (FIFPRO) থেকে পাওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, আর্থিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিভিন্ন ক্লাব একতরফাভাবে খেলোয়াড়দের চাকরিচুক্তি বাতিল করছে। এর ফলে খেলোয়াড়দের জীবন-জীবিকা ও ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।

এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।