চার বছর আগে প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়ার সময়ও লিওনেল মেসির প্রাপ্য অনেক কিছুই বাকি ছিল। সেই বকেয়ার টানাপোড়েন চলছিল দীর্ঘদিন।
২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় ক্লাবটির আর্থিক সংকট এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে, তখনকার সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ খেলোয়াড় ও কোচদের বেতনের একটি বড় অংশ ‘ডেফার্ড’ অর্থাৎ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই তালিকায় ছিলেন ক্লাবটির সবচেয়ে বড় সম্পদ লিওনেল মেসি।
স্প্যানিশ ক্রীড়াসংবাদমাধ্যম 'স্পোর্ত' জানাচ্ছে, প্রায় ৪৮ মিলিয়ন ইউরো বকেয়ার মধ্যে চূড়ান্ত ৫.৯৬ মিলিয়ন ইউরোর কিস্তিটিও চলতি মাসেই পরিশোধ করছে বার্সা। এর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার গল্প।
মেসি ছিলেন এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন, তবে একা নন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন খেলোয়াড় ও কোচের বেতনও স্থগিত করা হয়েছিল, যেমন—স্যামুয়েল উমতিতি, সের্হিও বুসকেতস, ফিলিপে কুতিনহো, উসমান দেম্বেলে এবং সাবেক কোচ রোনাল্ড কোমান।
বার্সার আর্থিক সংকটের শুরু অবশ্য করোনা থেকেই নয়—বছরের পর বছর ধরে চলা বাজেট-অপব্যবস্থা, অপ্রয়োজনীয় চুক্তি ও বিশাল মজুরি বিলই ধীরে ধীরে ক্লাবটিকে নিয়ে যায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে। কোভিড-১৯ সেটাকে কেবল আরও স্পষ্ট ও গভীর করে তোলে।
এই দেনা পরিশোধের মধ্য দিয়ে বার্সেলোনার জন্য এক জটিল অধ্যায় শেষ হলো। ক্লাবটি ইতিমধ্যেই ২০২৫-২৬ মৌসুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনেও রয়েছে আইনি জটিলতা। তবে সাবেকদের প্রাপ্য মিটিয়ে কিছুটা হলেও শ্বাস ফেলার সুযোগ পেল কাতালান জায়ান্টরা।
অন্যদিকে, মেসি এখন ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন ক্লাব বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বে পাঁচ পয়েন্ট এনে দলকে তুলেছেন শেষ ষোলোতে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আরেক সাবেক ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
এমএইচএম