এই ম্যাচ দিয়ে দেশের ফুটবলের এক নবজাগরণ দেখলো সবাই। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে বাংলাদেশ লড়াই করলো শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
খেলার শুরু থেকেই দুই দল লড়াই করে সমান তালে। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে সং উইংয়ে গোলে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধাড় বাড়ায় জামাল-ফাহামেদুলরা। বিরতির পর কাজেম শাহ কিরমানিকে তুলে শাহরিযার ইমনকে বদলি হিসেবে নামাম কোচ। খানিক বাদে ইমনের কাছেই আসে দারুণ সুযোগ। রাকিবের পাসে অবশ্য পা ছোঁয়াতে পারেননি বদলি হিসেবে নামা শাহরিয়ার ইমন। ৫১ মিনিটে সিঙ্গাপুরের রায়হান স্টুয়ার্টের আক্রমণ প্রতিহত করেন সাদ উদ্দিন।
৫৮ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের রক্ষণ ভেঙে বক্সের সামনে থেকে গোলে শট নেন হামি শাহিন। এই মিডফিল্ডারের গতিময় শট ঝাপিয়ে ঠেকিয়ে দেন মিতুল। পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে না পারায় বল যায় বক্সে থাকা ইখসানের কাছে; সামনে থাকা হৃদয়কে বোকা বানিয়ে সহজেই বাংলাদেশের জাল কাঁপান ইখসান।
৬৭ মিনিটে রাকিবের গোলে ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। আক্রমণের সুর বেধে দেন হামজা। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে রাকিবের কাছে পাস দেন বাংলাদেশের নাম্বার এইট। বল নিয়ে রাকিবকে এগিয়ে যেতে দেখেই কিনা অনেকটা সামনে এগিযে আসেন সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক ইজওয়ান। রাকিব আগে ভাগেই শট নেন গোলে, গোলরক্ষকের হাতে লেগে গড়িয়ে গড়িয়ে বল যায় জালে, উল্লাসে মেতে ওঠে জাতীয় স্টেডিয়ামে আসা ২১ হাজারেরও বেশি দর্শক। বাংলাদেশের জার্সিতে এ নিয়ে পঞ্চম গোলের দেখা পেলেন বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড রাকিব।
এরপর সমতায় ফিরতে দারুণ প্রচেষ্টা চালায় বাংলাদেশ। বেশ কিছু গোলের সুযোগও তৈরি হয়। শেষ ১০ মিনিট সিঙ্গাপুরের রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা নেয় বাংলাদেশ। তবে গোলের দেখা মেলেনি। ৮২ মিনিটে মোরছালিনের কর্নার থেকে হেড নেন আল আমিন। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের শরীরের লেগে বল বেড়িয়ে যায় বক্সের বাম পাস ঘেঁষে। এ সময় টানা তিনটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। ৮৪ মিনিটে সাদের থ্রোয়ে তারিকের হেড খুঁজে পায়নি জাল। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে গোলমুখের সামনে থেকে গোলে না মেরে আকাশে উড়িয়ে মারেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। গোল মিস বাংলাদেশের। ৯৬ মিনিটে ইমনের কাছ পাওয়া বলে য়ে হামজার কোনাকুনি শট কাঁপায় বক্সের ডান পাস।
খেলার অন্তিম মুহূর্তে গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। তবে পোস্টে লেগে বল যায় উপরে দিয়ে। মোরছালিনের শর্ট কর্নার থেকে বক্সের উড়িয়ে মারেন আল আমীন, গোলমুখের সামনে হেড নেন তারিক কাজি। তারিকের হেডে পোস্ট কাঁপিয়ে বেড়িয়ে যায় জালের উপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে হেরেই মাঠ ছাড়েন হামজা-তপুরা।
** প্রথমার্ধ শেষে এক গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ
এআর