এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি রিয়াল বেতিস। সেই ব্যবধান লম্বা সময় ধরে রাখে তারা।
গতকাল রাতে পোল্যান্ডের ভ্রোৎসওয়াফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে রিয়াল বেতিসকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে চেলসি। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়েও অসাধারণ প্রত্যাবর্তনে জয় ছিনিয়ে নেয় এনসো ফের্নান্দেস, কোল পালমার, নিকোলাস জ্যাকসনদের দল। এই জয়ে তিনটি প্রধান ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগ) শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ল ইংলিশ ক্লাবটি।
ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় বেতিস। ডান দিক থেকে বল নিয়ে চেলসির রক্ষণভাগকে বিভ্রান্ত করে দারুণ এক গোল করেন আব্দেসামাদ এজালজুলি। প্রথমার্ধে কিছুটা ছন্দহীন চেলসি বিরতিতে নামে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন একদম নতুন রূপে ফিরে আসে ইংলিশ ক্লাবটি। ৬৫তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান এনসো। বক্সের বাইরে থেকে তার নিচু শটে কোন সুযোগই ছিল না বেতিস গোলরক্ষকের। ৭১তম মিনিটে ডান দিক থেকে পালমারের বাড়ানো বল ধরে চমৎকার ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন নিকোলাস জ্যাকসন। ৮৩তম মিনিটে পালমারের পাস থেকেই বক্সের মধ্যে দারুণ এক শটে জাল খুজে নেন সানচো।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে মিনিটে দারুণ এক দলীয় আক্রমণ থেকে বল পেয়ে স্কোরলাইনের পার্থক্য আরও বাড়ান মোইসেস কাইসেদো। আর তাতেই নিশ্চিত হয় চেলসির ইউরোপা কনফারেন্স লিগ জয়।
চেলসির মিডফিল্ডার পালমার ম্যাচজুড়ে ছিলেন দুর্দান্ত। দুটি দারুণ অ্যাসিস্টের মাধ্যমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। ম্যাচ শেষে তিনিই নির্বাচিত হন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’।
এই জয় শুধু শিরোপাই এনে দেয়নি চেলসিকে, বরং তাদের ইউরোপা লিগে সরাসরি খেলার টিকিটও নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক কঠিন সময় পেরিয়ে এই জয় চেলসির জন্য হতে পারে এক নতুন সূচনা।
আরইউ