ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

ফুটবল

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জহিরুল হক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জহিরুল হক

পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন সাবেক ফুটবলার জহিরুল হক। হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দুই দিন আগে।

আজ সকালে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। জহিরুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে। গতকালই ৮৯তম জন্মদিন পূর্ণ হয়।  

পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলেছিলেন জহিরুল হক। ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলে বেশ নাম করেন তিনি। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত সাদা–কালো শিবিরে কাটিয়েছেন জহিরুল। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির কিংবদন্তি ফুটবলারদের একজন তিনি। মোহামেডানের অধিনায়ক ছিলেন পাঁচ মৌসুম।  

১৯৫৪ সালে তেজগাঁও ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব দিয়ে ঢাকার ফুটবলে নাম লেখান জহিরুল। সেখানে দুই বছর খেলে যগ দেন সেন্ট্রাল প্রিন্টিং অ্যান্ড স্টেশনারিতে। পূর্ব পাকিস্তান দলে খেলেছেন ১৯৫৭-৬০ পর্যন্ত। ১৯৬০ সালে ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান দলের অধিনায়ক। পাকিস্তান জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৬১ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি ম্যাচ খেলেন বার্মার সঙ্গে। ১৯৬২ সালে খেলেছেন মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে। ওই বছর জাকার্তা এশিয়ান গেমসে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।  

১৯৬৪ সালে খেলেছেন চীনের পিকিংয়ে (এখন বেইজিং) স্বাধীনতা দিবস টুর্নামেন্টে। ওই টুর্নামেন্টে তিনি ছিলেন পাকিস্তান দলে পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র খেলোয়াড়। ১৯৬৫ সালে রাশিয়ার বাকু ওয়েল মিল দলের বিপক্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও করাচিতে খেলেছেন পাকিস্তান জাতীয় দলের জার্সিতে।

পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ফুটবল ১৩টি ফাইনাল খেলেছেন জহিরুল। চারবার খেলেছেন আগা খান গোল্ডকাপ ফাইনাল। যার মধ্যে দুবার চ্যাম্পিয়ন করেন মোহামেডানকে। ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির বর্ষসেরা ফুটবলার হন। ২০০১ সালে পেয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।