প্রেসিডেন্ট বলে ভিআইপি লাউঞ্জে বসে সব সময় খেলা দেখেননি। খেলা উপভোগ করেছেন ইকোনমি ক্লাসে দর্শক সারিতে বসে।
কোলিন্দা গ্র্যাবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কাজ বাদ দিয়ে যে কদিন খেলা উপভোগ করেছেন সে কদিনের পারিশ্রমিক তিনি নেবেন না।
গ্যালারিতে প্রাণবন্ত এ প্রেসিডেন্ট ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের শেষে ড্রেসিংরুমে গিয়ে খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা দিতে একসঙ্গে নেচেছেন। ফাইনাল ম্যাচে দলেরও হারের পরও দেখা গেছে মুখে হাসি নিয়েই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে জানিয়েছেন অভিনন্দন। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও নিজ দেশের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন, চেপে রেখেছেন আবেগ। হয়তো বৃষ্টি কান্না হয়ে ধুয়ে দিয়েছে চোখের পানি। পাশাপাশি ফ্রান্সের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের প্রতিও তার আচরণ ছিল একই রকম।
এসব ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে গ্র্যাবার বন্দনা। সবাই অভিনন্দিত করছেন তার সততা, নেতৃত্ব। বলছেন তিনিই সত্যিকারের দেশনেত্রী। লিখছেন, ফ্রান্স কাপ জিতেছে, কিন্তু বিশ্ববাসীর ভালোবাসা জিতেছে ক্রেয়েশিয়া।
ক্রোয়েট কোচ দালিচের আচরণেও মুগ্ধ গোটা ফুটবল বিশ্ব। মাঠে কখনও মেজাজ হারাতে দেখা যায় না তাকে। নেই দলের গোলে বড় উদযাপন। মধ্যমাঠে মদ্রিচ, পেরিচিসরাও নজর কেড়েছেন গোটা বিশ্বের। সমর্থন তারা আদায় করে নিয়েছেন। তাই খেলা শেষে তাদের কান্নায় চোখ ভাসিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। খেলা হোক এমন ভালোবাসার, শান্তির বার্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
এএ