ফিফার নিয়ম অনুযায়ী দু’টি দলের একই পয়েন্ট হলে তাদের হলুদ কার্ড ও লাল কার্ডের হিসাবে একটি দলকে এগিয়ে রাখা হয়। আর এই নিয়মের জালেই আটকে বাদ পড়তে হয় সেনেগালকে।
অপরদিকে একই ব্যবধানে কলম্বিয়ার বিপক্ষে হেরে মাঠ ছাড়ে সেনেগাল। কিন্তু ফেয়ার প্লে নীতিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যায় জাপান।
এ পর্যায়ে হিসাব করা করা সেনেগাল ও জাপানের মধ্যে কোন দল ফেয়ার খেলেছে! কারা হলুদ কার্ড-লাল কার্ডে পিছিয়ে আছে। আর সে হিসাবে জাপান চলে যায় পরের রাউন্ডে। সেনেগালও চুপ থাকেনি। তারা ফিফা বরাবর আবেদন করে এই নীতি পর্যালোচনার। সমালোচনার মুখে পড়ে ফিফার ‘ফেয়ার প্লে’ নীতি। এমন অবস্থায় সেনেগালের শেষ ১৬-তে না যাওয়া নিয়ে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা।
ফিফার টুর্নামেন্ট পরিচালক কলিন স্মিথ আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, তারা সেনেগালের করা আবেদন পর্যালোচনা করছেন তবে এখনই ফলাফল পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না তারা। তিনি বলেন, মূলত দলের অবস্থান, গোল ও ফলাফলের ভিত্তিতেই জয়ী হিসাব করা হয়। ফেয়ার প্লে বিশেষ অবস্থায় বিবেচনা করা হয়। এটা পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে। তবুও আমরা এটা আলোচনায় রাখছি।
বিশ্ব পেয়ে গেছে তাদের নতুন ফুটবল চ্যাম্পিয়ন। পার্যালোচনা করেও তেমন কিছুই হয়নি এই নীতির। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষেও আলোচনা থামেনি সেই ফেয়ার প্লে নীতি নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
এএ