আজকের ম্যাচে দুই হলুদ কার্ডের খাড়ায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফ্রান্সের একাদশে ফিরেছেন মাতুইদি। অন্যদিকে বেলজিয়াম দলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় থাকা থমাস মুনিয়েরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মুসা দেম্বেলে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এ পর্যন্ত ৭৩ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। ১৯০৪ সাল থেকে শুরু এই দুই দেশের লড়াই। এই ৭৩ বারের মধ্যে ৩০ জয় নিয়ে এগিয়ে আছে বেলজিয়াম। ফ্রান্সের জয় ২৪। আর বাকি ১৯টি ম্যাচ শেষ হয়েছে অমীমাংসিত ভাবে। তবে বিশ্বকাপে মাত্র দুইবার মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স-বেলজিয়াম। ১৯৩৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সে দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে ফ্রান্স।
নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা বেলজিয়াম বাছাইপর্ব ও বিশ্বকাপের শেষ ১০ ম্যাচের সবগুলোই জিতেছে। নিজেদের সবশেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতে জয় আছে ফ্রান্সের।
১৯৯৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ভয়-ডরহীন ফুটবল খেলার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্তিনেজ।
ঐতিহ্যের দিকে থেকে ভাবলে বেলজিয়ামের তুলনায় ফ্রান্স অনেক এগিয়ে। রাশিয়া বিশ্বকাপের টপ ফেভারিট তালিকায় ফ্রান্স উপরের দিকে না থাকলেও আলোচনায় ছিল ভালোভাবেই। অন্যদিকে দারুণ সব ফুটবলার নিয়ে সাজানো দল থাকলেও বেলজিয়াম সেমি ফাইনালে জায়গা করে নেবে এমনটা প্রত্যাশা করেননি অনেকেই। সেই বেলজিয়ামই ব্রাজিলের মতো দলকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে।
ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে ও গ্রিজম্যান ভোগাতে পারেন বেলজিয়ামকে। পেছন থেকে এ দুজনকে সহযোগিতা করবেন পল পগবা। এই তিনজনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যদের। তবে বেলজিয়ামেও আছেন অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ডের মতো ফুটবলার। প্লে-মেকারের ভূমিকায় দারুণ সফল দলটির এই চেলসি তারকা।
ফ্রান্সের একাদশ
হুগো লোরিস, বেঞ্জামিন পাভার, লুকাস হার্নান্দেস, রাফায়েল ভারানে, সামুয়েল উমতিতি, পল পগবা, আঁতোয়া গ্রিজমান, অলিভিয়ের জিরুদ, কিলিয়ান এমবাপ্পে, এনগোলো কান্তে, ব্লেইজ মাতুইদি।
বেলজিয়ামের একাদশ
থিবাউ কুরতোয়া, টোবি আল্ডারভাইরেল্ড, ভিনসেন্ত কোমপানি, ইয়ান ভেট্রোনঘেন, কেভিন দে ব্রুইনি, আক্সেল ভিটসেল, মারুয়ানে ফেল্লাইনি, ইডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকু, মুসা দেম্বেলে, নাসের শাদলি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৭ ঘন্টা, ১০ জুলাই, ২০১৮
এমএইচএম