রোমেলু লুকাকু, কেভিন ডি ব্রুইনের মতো তারকাদের সঙ্গে সমান তালেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই হ্যাজার্ডই জাতীয় দলের ম্যাচ ছেড়ে বার্গার খেতে চলে গিয়েছিলেন।
২০১১ সালের জুন মাস। তুরস্কের বিপক্ষে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলছিল বেলজিয়াম। ম্যাচের ৬০ মিনিটে সে সময়ে দলের কোচ জর্জেস লিকেনস মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন হ্যাজার্ডকে। কোচের এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না হ্যাজার্ড। রেগে বের হয়ে যান মাঠ থেকে।
এমনকি ডাগআউটে এক কোচিং স্টাফের সঙ্গেও প্রায় হাতাহাতিই বাঁধিয়ে বসেন। পরে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুতেই যেনো মাথা ঠাণ্ডা হচ্ছিলো না তার। রেগে কাউকে কিছু না বলে স্টেডিয়াম থেকেই বের হয়ে যান। চলে যান রেস্টুরেন্টে বার্গার খেতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসিহাসি মুখ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ছবিও প্রকাশ করেন।
তবে বার্গার খেয়ে পার পাননি হ্যাজার্ড। কোচের সিদ্ধান্তের অবমাননা ও পেশাদারিত্বের চরমভাবে অপমান করায় দেশটির গণমাধ্যম সে সময় রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছে তাকে। তাকে নিষিদ্ধের দাবিও ওঠে। কোচ অবশ্য বেশি কঠোর হননি। মাত্র দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেই ছেড়ে দেন। সে সময় যদি নিষিদ্ধ হয়ে যেতেন, ৭ বছর পর আজকের এই অভিজ্ঞ ও অধিনায়ক হ্যাজার্ডকে পেতো না বিশ্বফুটবল।
তার অধিনায়কত্বের প্রশংসা করছেন তার সতীর্থ রবার্তো মার্টিনেজ। বলেন, তিনি (হ্যাজার্ড) একজন দারুণ অধিনায়ক, একজন অভিজ্ঞ নেতা। সে এমন একজন খেলোয়াড় যিনি সব সময় খেলা নিয়েই ভাবেন এবং দেখান। তিনি সব সময় বলের জন্যই দৌড়ান এবং সফল হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এমকেএম