খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টাইন গ্রেট ম্যারাডোনা নিজ দেশকে সমর্থন জানাতে হাজির হন রাশিয়ায়। কিন্তু ফ্রান্সের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে ৪-৩ গোলে হেরে মেসিদের বিদায়ে তার হৃদয় ভেঙে যায়।
বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যম টেলেসারকে ম্যারাডোনা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এটা (আর্জেন্টিনাকে কোচিং করানো) ফ্রি’তে করতে চাই। আমি বিনিময়ে কিছুই চাইবো না। ’
বিশ্বকাপের বাজে ফলাফলের সূত্র ধরে কোচ সাম্পাওলির চাকরি যাই যাই করছে। এরইমধ্যে ম্যারাডোনার এমন মন্তব্য।
এর আগেও একবার আর্জেন্টিনার দায়িত্ব সামলেছেন ম্যারাডোনা। তার অধীনে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেন মেসিরা।
আর্জেন্টিনার বিদায়ে যন্ত্রণাকাতর ম্যারাডোনা বলেন, ‘মানুষ ভাবে আমি বুঝি খুশি, কিন্তু আমার হৃদয় ভার হয়ে আছে। আমার খুব কষ্ট লাগে এটা ভেবে যে, আমাদের এতো পরিশ্রমের সবকিছু এতো সহজে ধ্বংস হয়ে গেল। ’
তবে ম্যারাডোনার সমালোচকরা তাকে আর্জেন্টিনার কোচের পদে দেখতে মোটেও আগ্রহী নন। তাছাড়া রাশিয়ায় গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সময় তার অদ্ভুত আচরণ দেখে মনে হয়না তিনি ওই পদের জন্য প্রস্তুত।
৫৭ বছর বয়সী সাবেক এই ফুটবল তারকা আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচে গ্যালারিতে খেলা দেখার সময় বিয়ার খেয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে উপুড় হয়ে পড়ে যান হন। এছাড়া ওই ম্যাচে মার্কোস রোহোর গোলের পর দুই হাতের মধ্যমা প্রদর্শনের পর তার মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস