লোকে ভীতু বলুক কিংবা করুক সমালোচনা- তারা করেছেন তাদের কাজ! এ হার যে অনেকটা ইচ্ছেকৃত সেটা মাঠে খেলোয়াড়দের অঙ্গভঙ্গিও বলে দিচ্ছিলো। কিন্তু নয়জন রেগুলার খেলোয়াড়কে বসিয়ে রেখেও ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে হ্যাজার্ড-লুকাকুর বেলজিয়াম।
কালিনিনগ্রাদে জি-গ্রুপের এ ম্যাচটি দুই দলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। বাকি ছিল শুধু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করা। আর আট-নয়জন খেলোয়াড় বসিয়ে সাইড বেঞ্চ পরীক্ষা করার কারণ লুকিয়ে সেখানেই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে কোয়ার্টারে মুখোমুখি হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে টপ ফেবারিট ব্রাজিলের।
তার আগে হিসাব হয়তো আরও বাকি। কিন্তু সেদিকে নজর কম ইংলিশদের। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে বেলজিয়ানদের প্রতিপক্ষ জাপান। আর ইংলিশরা লড়বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। বেলজিয়াম জিতলে তাদের মোকাবিলা করতে হবে ব্রাজিল অথবা মেক্সিকোর। অপরদিকে ইংল্যান্ড যদি জেতে তবে তাদের লড়তে হবে সুইজারল্যান্ড অথবা সুইডেনের বিপক্ষে। যেটা বেশি সহজ মনে করছে ইংলিশরা। অন্তত সমালোচকরা তাই মনে করছেন।
একই সঙ্গে দল হারার পরও ইংলিশ সমর্থকদের উল্লাস এই যুক্তিকে করেছে আরও জোরালো। তারা মনে করছেন এই হারে পরের রাউন্ডগুলো পেরিয়ে সেমিফাইনাল, ফাইনালে যাওয়া তাদের জন্য সহজ হবে। তাই হারের পরও সমর্থকদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। যে ছবি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
এমনই একজন সমর্থক অ্যান্ডির বক্তব্য, আমি এখনও খুশি, কারণ আমি মনে করি এই হারে পরবর্তী পর্বগুলো পেরুনো আমাদের সহজ হবে। জিতলে ভালো হতো, কিন্তু এটা কোনো ব্যাপার না। আমি মনে করি আমাদের অবশ্যই ফাইনালে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।
শেষ ষোলোতে ইংলিশদের মোকাবিলা করতে হবে রদ্রিগেজের কলম্বিয়াকে। ৩ জুলাই ওই ম্যাচের পরই বোঝা যাবে কোন দল সঠিক ‘সিদ্ধান্ত’ নিলো- বেলজিয়াম নাকি ইংলিশরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৮
এএ