ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার দ্বৈরথ

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার দ্বৈরথ আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে আর্জেন্টিনাকে। অন্যদিকে ড্র করলেও শেষ ষোলোয় যেতে পারবে নাইজেরিয়া। এমন সমীকরণ সামনে নিয়েই মঙ্গলবার রাতে মুখোমুখি হবে দল দুটি।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া দ্বৈরথ নতুন নয়। এর আগে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চারবার মোকাবেলা করেছে আফ্রিকান সুপার ঈগলরা।

১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ (আর্জেন্টিনা ২-১ নাইজেরিয়া)
নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেই শৈল্পিক নৈপুণ্য আর পাওয়ার ফুটবলের মিশেলে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিল নাইজেরিয়া। উদ্বোধনী ম্যাচেই বুলগেরিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। জানিয়ে দেয় বড় দলগুলোর থেকে কোনো অংশেই কম নন তারা।

আর্জেন্টিনাও প্রথম ম্যাচে গ্রিসকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিলো। দুই দলই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়। আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর দুই দলের মধ্যে প্রধান পার্থক্যের নাম ছিলো ক্লদিও ক্যানিজিয়া।

খেলার শুরুতে এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। তবে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকেনি আর্জেন্টিনাও। প্রথমার্ধেই গোল পরিশোধ করে এবং এগিয়েও যায় আর্জেন্টাইনরা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেও সেবার গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায় আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় নাইজেরিয়া।

২০০২, কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপ (আর্জেন্টিনা ১-০ নাইজেরিয়া)
১৯৯৪ সালের পর আর দেখা হয়নি আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার। ২০০২ বিশ্বকাপে আবারও একই গ্রুপে দেখা হয়ে যায় লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা আর আফ্রিকান নাইজেরিয়ার।

গ্রুপ ‘এফ’ এর উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হয়ে প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার হেড থেকে করা গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। আর ওই একটি গোলই জিতিয়ে দেয় আর্জেন্টিনাকে।

সেবারের বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচই জিততে পারে আর্জেন্টিনা। আর বাকি দুই ম্যাচের একটিতে হেরে ও অন্যটিতে ড্র করে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় আলবিসিলেস্তেরা।

২০১০, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ (আর্জেন্টিনা ১-০ নাইজেরিয়া)
১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপের মতো এ বিশ্বকাপেও একই গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয় নাইজেরিয়া। কার্লোস তেভেজ, গঞ্জালো হিগুয়াইন, লিওনেল মেসিকে নিয়ে শক্তিশালী আক্রমণভাগ সাজিয়ে বিশ্বকাপে যায় আর্জেন্টিনা। কোচ হিসেবে ছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী ম্যারাডোনা।

তবে এত শক্রিশালী আক্রমণ নিয়েও নাইরেজিয়ার বিপক্ষে কষ্টার্জিত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে। ওই বিশ্বকাপে নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হলেও কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৪-০ গোলে পরাস্ত হয়ে বিদায় নেয় মেসিবাহিনী। অন্যদিকে নাইজেরিয়া গ্রুপ পর্বেই ছিটকে পড়ে।

২০১৪, ব্রাজিল বিশ্বকাপ (নাইজেরিয়া ২-৩ আর্জেন্টিনা)
আগের তিনবারের মতো এই বিশ্বকাপেও শেষ হাসি হাসে আর্জেন্টিনা। তবে তাদের অনেকটাই রুখে দিয়েছিলো আফ্রিকান ঈগলরা। আর্জেন্টিনার পক্ষে দুই গোল করেন লিওনেল মেসি। আরেকটি গোলের মালিক ফুলব্যাক মার্কোস রোহো। আর নাইজেরিয়ার পক্ষে গোল দুটি করেন আহমেদ মুসা।

বিশ্বকাপে চারবারের সাক্ষাতে একবারও জিততে পারেনি নাইজেরিয়া। সুপার ঈগলদের বিপক্ষে অপরাজেয় থাকার ধারা অব্যাহত রাখতে চাইলে এবার অনেক বেশি কাঠখড় পোড়াতে হবে আর্জেন্টিনাকে। অন্যদিকে গত নভেম্বরে দুই দলের মুখোমুখি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারানোর স্মৃতি সুপার ঈগলদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৮
এমকেএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮ এর সর্বশেষ

welcome-ad