ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়াতেই ছিলো মেসির বিশ্বকাপ জয়ের শেষ সুযোগ। সেই সুযোগও নষ্ট হওয়ার পথে।
দলের প্রধান খেলোয়াড় মেসিকে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। চারদিক থেকে সমালোচনার ঝড় উঠলেও সাম্পাওয়ালি তার শিষ্যকে দোষারোপ করতে নারাজ। তার মতে, দলের বাকিদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাহায্য না পাওয়াতেই মেসি প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাম্পাওলি বলেন, বাস্তবতা হলো- লিও অকেজো ছিলো, কারণ তার সঙ্গে দলের অন্যদের যেভাবে পারফর্ম করা উচিত সেভাবে তা হয়নি।
একইসঙ্গে ব্যর্থতার দায় নিজের বলেও স্বীকার করেছেন সাম্পাওলি। তিনি বলেন, এটা আংশিক দায়িত্ব নয়, পুরো দায় কোচের।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মারাত্মক ভুল করা গোলকিপারে উইলি কাবায়েরোর সমর্থনেও কথা বলেছেন সাম্পাওয়ালি। তিনি বলেন, তাকে (গোলরক্ষক) দোষ দিয়ে লাভ নেই। যদি আমি ভিন্ন কিছুর পরিকল্পনা করতাম, তবে ভিন্ন কিছুই হতো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তেমন কিছু করার আগেই গোল খেয়ে দল মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। আমাদের মূল চালিকা শক্তি লিও। কিন্তু দল তার কাছে বল পৌঁছাতে পারেনি। বলা যায় প্রতিপক্ষ তার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি।
তিনি বলেন, এটা (পরাজয়) দেশ ও দলের জন্য লজ্জা ও কষ্টের। এটা আর্জেন্টিনার মানুষ আশা করেনি। দেশের হয়ে আমি এটা অনেক বছর থেকেই অনুভব করছি, আবারও তেমন কিছুই হতে যাচ্ছে। এটা আসলেই কষ্ট দেয়। দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আমি কিছুই বলতে পারি না। আর্জেন্টিনার ভক্তদের খুশি করার পরিকল্পনা নিয়েই রাশিয়ায় এসেছিলাম। আমি আমার সামর্থ্যের সবটুকুই দিয়েছি।
দুই ম্যাচে এক ড্র ও এক হার নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে মেসির আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় পর্বে ওঠা অনেকটাই অনিশ্চিত তাদের জন্য। পরের ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেও তাকিয়ে থাকতে হবে আইসল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া আর আইসল্যান্ড-নাইজেরিয়া ম্যাচের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এমকেএম/এমজেএফ