প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খাবারের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমরা সমর্থক, খেলোয়াড়, কোচ কারো মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাই না। কাউকেই আঘাত দিতে চাই না।
মেসি-নেইমারের প্রতিটি গোলের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) মাস্টারকার্ড ১০ হাজার শিশুকে খাবার দান করবে। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের স্কুলশিশুদের মধ্যে এই খাবার বিতরণ করা হবে। রাশিয়া বিশ্বকাপে করা গোলও এই উদ্যোগের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির এই উদ্যোগ দারুণভাবে প্রশংসা পেলেও কিছুদিন যেতেই তা সমালোচনার মুখে পড়ে।
স্বয়ং মেসি-নেইমার মাস্টারকার্ডের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের কোচও এর প্রশংসা করেন। প্রকল্পটি ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হলেও বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মাস্টারকার্ডকে উদ্দেশ্য করে অনেকেই সমালোচনা করেন।
জো বেক নামে এক ব্যক্তি এ উদ্যোগকে ব্যাঙ্গ করে লিখেছেন, দুঃখিত বাচ্চারা, আজকে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) গোলটি বাতিল করেছে, আজ আর খাওয়া নেই।
ম্যারাথন দৌড়বিদ রবি ব্রিটন লিখেছেন, তার মানে কি গোলকিপার তার দক্ষতায় হঠাৎ করে বল থামিয়ে দিলে, বাচ্চাদের মুখের খাবারও থেমে যাবে? কি হাস্যকর!
অ্যাবেন বেল নামে একজন লিখেছেন, শিশুদের খাবার নিয়েও খেলা শুরু হলো!
তাছাড়া অনেকেই মাস্টারকার্ড বর্জনেরও দাবি জানিয়েছেন।
‘টুগেদার উই আর ১০’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে গত এপ্রিলে এই উদ্যোগের সূচনা করে মাস্টারকার্ড। আগ্রহীরাও এই উদ্যোগে দান করতে পারেন। এজন্য #JuntosSomos10 এই হ্যাশট্যাগ টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ব্যবহার করে কিংবা মাস্টারকার্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দান করা যাবে।
এক্ষেত্রে প্রতিবার হ্যাশট্যাগের বিনিময়ে একজন স্কুলপড়ুয়া শিশুর জন্য খাবার দান করবে মাস্টারকার্ড। আর যদি কেউ সরাসরি মাস্টারকার্ড থেকে দান করেন তাহলে তার বিপরীতে দশজন স্কুলপড়ুয়া শিশুর জন্য খাবার দান করবে প্রতিষ্ঠানটি। এ উদ্যোগের আওতায় এরইমধ্যে চার লাখ স্কুল পড়ুয়া শিশুর জন্য খাদ্য বিতরণ করেছে মাস্টারকার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস