মাগুরা নিশ্চিন্তপুর স্কুল মাঠে মঙ্গলবার (৫ জুন) সকালে এ পতাকা প্রদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জার্মানি দূতাবাসের ডিপ্লোম্যাট ক্যারেন উইজোরা খাগিন এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা তামারা কবির ছাড়াও বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আমজাদ জানান, বিগত ২০০৪ সালের বিশ্বকাপে নিজের জমি বিক্রি করে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ পতাকা তৈরি করেছিলেন তিনি।
আমজাদ আরো বলেন, জীবিত থাকলে ২০২২ সালের বিশ্বকাপে তিনি ২২ কিলোমিটার জার্মানির পতাক উপহার দেবেন।
মাগুরা সদরের ঘোমারা গ্রামের আমজাদ হোসেন (৫৫) কিশোর বয়সে কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। পরে স্থানীয় একজন চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি জার্মানির হেমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেই থেকে তিনি জার্মান ও জার্মান ফুটবল দলের একনিষ্ঠ ভক্ত বলে জানান।
বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাসের ডিপ্লোম্যাট ক্যারেন উইজোরা খাগিন বলেন, আমরা আমজাদের এ উদ্যোগে অভিভূত। এটি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ জার্মান পতাকা তাই আমরা পতাকাটি দেখতে মাগুরা ছুটে এসেছি। আমরা জানি আমজাদ অনেক কষ্ট করে এটি তৈরি করেছেন তাই আমাদের কর্তব্য তার পাশে থাকা।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক অ্যাডভোকেট হাসান সিরাজ সুজা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার মোল্লা।
এছাড়াও পার্শ্ববতী বিভিন্ন জেলা থেকে জার্মান ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৮
আরএ