আসলে এমনটাই ধারণা কিছু আর্জেন্টিনাবাসীর। কেন তাদের এই ধারণা? এই ধারণার পেছনে আছে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের সময়টি।
সে গ্রামেই ছিলো এক চার্চ আর সেখানেই স্থাপিত ছিলো ‘ভার্জিন অব কোপাকাবানা’ দেবী মূর্তি। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস ছিলো, ওই মূর্তির সামনে যদি কিছু মানত করা হয়, তা হলে তা পূরণ হয়। আবার কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে, সেটিও রক্ষা করতে হয়। না হলেই বিপদ। আর এই বিশ্বাসেই বিশ্বাস রাখেননি বিলার্দো। তবে ৩২ বছর আগের সেই ঘটনা এখনো ভোলেননি সেই গ্রামবাসী। তাদেরই দাবি কখনোই শিরোপা জিততে পারবে না আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার একটি ওয়েবসাইটে অতীতের সেই কাহিনি তুলে ধরেছেন ডেভিড গর্দিলো নামের সে গ্রামের এক বাসিন্দা। লিখেছেন, সে সময় ২৫ বছর বয়স ছিল গর্দিলোর। আর্জেন্টিনার সেই দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন তিনি। গার্দিলোওই বলার্দোকে মূর্তির কথা বলেছিলেন। তার কাছে মূর্তির ক্ষমতার কথা শুনে চার্চে যান বিলার্দো। প্রতিশ্রুতি দেন, কোনোভাবে বিশ্বকাপ জিততে পারলে তারা আবার তিলকারায় ফিরে দেবীকে ধন্যবাদ জানাবেন। কিন্তু আর্জেন্টিনা আর সেই গ্রামে ফেরেনি।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সেই প্রতিবেদনে একই স্মৃতি মনে করে লিখেছেন, ভার্জিনের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বিলার্দো বলেন, বিশ্বকাপে তারা যদি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন, তা হলে এখানে ফিরে এসে, হাঁটু মুড়ে বসে ধন্যবাদ জানাবেন। কিন্তু ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর আর সেই গ্রামে বিলার্দোর না ফেরাতেই আর্জেন্টিনার ওপর থেকে বিপদের ছায়া সরছে না।
সেই গ্রামবাসীর এখনো ধারণা, শুধু মেসির পায়ের জাদুতেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিততে পারবে না, কারণ দেবীর অভিশাপ এখনো আছে আর্জেন্টিনা দলের ওপর। এরপর দুইবার বিশ্বকাপ ফাইনালে (১৯৯০, ২০১৪) ওঠেও কাপ জেতা হয়নি তাদের। দুই বারই ফাইনালে এক গোলে হারতে হয়েছিল জার্মানির কাছে। তবে কি শিরোপা জয়ের জন্য মেসিদের তিলকারাতে যেতে হবে!
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
এমকেএম/এইচএ