ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪৩২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

ফিচার

ফড়িংয়ের স্বর্গ রাজ্যে

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪৫, নভেম্বর ১, ২০২১
ফড়িংয়ের স্বর্গ রাজ্যে ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ছোটবেলায় কতই না দৌড়েছেন ফড়িং ধরার জন্য। ওই সময়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছোট পতঙ্গ বোধহয় এটাই ছিল।

এই পতঙ্গটি ছোট বড় সকলেরই অনেক পছন্দের।

ফড়িং দেখতে যেমন চমৎকার, মানুষকে বিভিন্ন রঙ দেখিয়ে আকৃষ্টও করে তেমনই। দেশের সব জায়গায় ফড়িংয়ের দেখা মিললেও, কেন যেন একটু বেশি দেখা মিলেছে ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনের কাশবনে। কাশফুলের সিজনে কিছুটা ভাটা হলেও ওদের আসার কোনো কমতি নেই। ওরা আসে, মানুষ ওদের আনন্দচিত্তে দেখে আর প্রশান্তি নেয়।

রোববার (৩১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে থাকা শিশুরা কাশফুলের উপর বসে থাকা ফড়িং ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। নানান রঙের ফড়িং শিশুদের আকৃষ্ট করে। কাশফুলের শুকনো ডালে ওরা বিচরণ করছে। ফড়িং ধরতে গেলেই মারে ফুরুৎ। এছাড়াও উড়ে বেড়ায় ওদের ইচ্ছে মতো। এভাবেই এক ডাল থেকে আরেক ডালে ঘুরে বেড়ায় ওরা।

ফড়িংয়ের বৃহৎ যৌগিক চোখ, দুইটা শক্তিশালী ও স্বচ্ছ পাখা এবং দীর্ঘায়িত শরীর। বসে থাকার সময় এদের পাখা অনুভূমিক এবং শরীরের সঙ্গে সমকোণে থাকে। অন্যান্য পতঙ্গের মতো ওদের ৬টি পা থাকলেও ওরা হাঁটতে পারে না। ওদের পা হয় কাঁটাযুক্ত এবং ডালপালায় বসার উপযোগী। ফড়িংয়ের মাথা বড়, তাই ওরা ইচ্ছা মতো ঘুরাতে পারে।

ফড়িং মশা এবং অন্যান্য ছোট-ছোট পোকামাকড় যেমন- মাছি, মৌমাছি, পিঁপড়া, প্রজাপতি ইত্যাদি খায়। এদের সাধারণত পুকুর, হ্রদ, ঝর্ণা এবং জলাভূমির আশেপাশে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।