ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডায় অবস্থিত ৩০০ বছরের পুরনো শ্রীশ্রী কালভৈরব মন্দির। লোকশ্রুতি আছে, আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তরসীমায় তিতাস নদীর পাড়ের মেড্ডা গ্রামের পঞ্চবটিমূলে শ্রীশ্রী কালভৈরব স্বমহিমায় আবির্ভূত হন।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ মন্দিরের নাটমন্দিরসহ আশপাশ এলাকায় বখাটে, মাদকসেবী আর ছিঁচকে চোরদের অপতৎপরতার কারণে দিন দিন ম্লান হতে চলছে ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরের পবিত্রতা এবং ঐতিহাসিক গৌরব। মন্দিরের পুরোহিত জীবন চক্রবর্তী ও স্বপন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, ৬০ শতাংশ জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এ মন্দিরে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক ভক্তসমাগম ঘটে। মন্দিরের পূর্ব ও উত্তরভাগ খোলা থাকায় মন্দির প্রাঙ্গণ এখন বখাটে মাদসেবী এবং স্কুল-কলেজ জুটিদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে কয়েকবার অভিযোগ করেও কোনও ফল হয়নি। এর কারণে মন্দিরে আসা ভক্ত-দর্শনার্থীরাও বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। এর আগে ২০০৯-এর ১৩ জুলাই মন্দিরের পাশে ১০০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন শিবমন্দিরে ৩ ফুট উচ্চতার কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ মূর্তিটি মন্দিরের গ্রিল ভেঙে চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র। পরে ওই বছরের ১৯ অক্টোবর র্যাব ৯-এর সদস্যরা ছিন্নভিন্ন অবস্থায় চুরি হওয়া কষ্টিপাথরের মূর্তিটি উদ্ধার করে।
একদিকে নিরাপত্তাহীনতা, অন্যদিকে ভক্ত-দর্শনার্থীদের থাকা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই বেশ সমস্যায় পড়েন। মন্দির ও এর ঐতিহ্য রক্ষার দাবি তাই সচেতন মহলের। পাশাপাশি একে একটি সংরক্ষিত ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলারও অনুরোধ তাদের।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫০, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০