ঢাকা, শনিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

অভিশপ্ত খালের করুণ কাহিনী

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:০৫, নভেম্বর ১৫, ২০২০
অভিশপ্ত খালের করুণ কাহিনী অভিশপ্ত খাল, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: একটা সময় বৃষ্টি হলে নগরীর পানি বিভিন্ন খালে গিয়ে পড়তো। সেখান থেকে বুড়িগঙ্গা বা শীতলক্ষ্যা নদীতে।

পানির সঙ্গে নগরীর ময়লা-আবর্জনা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার হতো গোটা শহর। একইসঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে এই খালগুলো দিয়ে ছোট নৌকায় রাজধানীর ভেতরে আনা-নেওয়া করা হতো নানান পণ্য।

এখন আর সে সুযোগ নেই। ভরাট, দখল আর দূষণে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে রাজধানীর এসব খালগুলো। যেগুলো বেঁচে আছে, সেগুলােও দিন দিন অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। ভরে উঠেছে পলিথিন আর অন্যান্য আবর্জনায়।
.

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন খালের আশ-পাশের ঘর-বাড়ি, কল-কারখানার ময়লা-আবর্জনায় এখন বেহাল দশা খালগুলোর। প্রতিদিন আবর্জনা ফেলার কারণে প্রবাহমান খালগুলো এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। অথচ এগুলোর সঠিক ব্যবহার করলে নগরীর চিত্র পাল্টে যেত বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।

সমীক্ষার হিসাব অনুযায়ী, একসময় রাজধানীতে খাল ছিল ৪৭টি। দখল আর ভরাটে এখন আছে মাত্র ২৬টি। তবে যেগুলো আছে, সেগুলোও এখন মৃতপ্রায়। এছাড়া ছোট হয়ে এগুলো এখন পরিণত হয়েছে ছোট্ট নালায়। ফলে পানি গড়তে সময় লাগে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি।

কালের পরিক্রমায় অনেক খালের শুধু অস্তিত্বই বিলীন হয়নি, বরং সেখানে গড়ে উঠেছে বিশাল আকৃতির দালানকোঠা ও মার্কেট। নিয়মিত নোংরা বর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ দেওয়ায় প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে এর পানি। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ময়লা জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে অনেক জায়গা। যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য; উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

ছবিগুলো রাজধানীর হাজারীবাগের বৌবাজার, কামরাঙ্গীচর, বাসাবো-খিলগাও এলাকার ত্রিমোহনী, ধোলাইপাড়, কাজলা, কদমতলী এলাকা থেকে তোলা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।