ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

মিশুক মুনীরের জন্ম, প্রীতিলতার আত্মাহুতি

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
মিশুক মুনীরের জন্ম, প্রীতিলতার আত্মাহুতি

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার। ০৯ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৮৯- যুক্তরাজ্যে ডাক ব্যবস্থার সূচনা।
১৯৪৮- হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৮- সোয়াজিল্যান্ড জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
১৯৭৩- বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নাইজার।
২০০৭- ভারতীয় ক্রিকেট দল টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।

জন্ম
১৮৯৮- নোবেলজয়ী অস্ট্রেলীয় জীববিজ্ঞানী হাওয়ার্ড ফ্লোরি।
১৯৫০- ক্রিকেটার মহিন্দর অমরনাথ।
১৯৫৯- বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার রূপকার, বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর।

তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর মেজো ছেলে। জন্ম নোয়াখালীতে। একাধারে তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাহক। তাকে বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ বলা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিওগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। সর্বশেষ ২০১০ সালে এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। তার সঙ্গে একই দুর্ঘটনায় মারা যান বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদও।

মৃত্যু
১৮৫৯- সিপাহী বিদ্রোহের বীর যোদ্ধা নানা সাহেব।
১৯২৪- রবীন্দ্র সাহিত্যের অনুবাদক উইলিয়াম পিয়ারসন।
১৯২৫- কল্লোল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক গোকুলচন্দ্র নাগ।
১৯৩২- বাংলার প্রথম বিপ্লবী নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।

তিনি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী ও প্রথম নারী শহীদ ব্যক্তিত্ব। তৎকালীন পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিপ্লবী সূর্য সেনের নেতৃত্বে তখনকার ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং জীবন বিসর্জন করেন। ১৯৩২ সালে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব দখলের সময় তিনি ১৫ জনের একটি বিপ্লবী দল পরিচালনা করেন। এই ক্লাবটিতে একটি সাইনবোর্ড লাগানো ছিল, যাতে লেখা ছিল ‘কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ’। বিপ্লবীরা ক্লাবটিতে অভিযান শেষে ফেরার পথে পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন প্রীতিলতা। ধরা পড়লে বিপ্লবীদের অনেক গোপন তথ্য ব্রিটিশ পুলিশের কাছে ফাঁস হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় আটক হওয়ার আগেই সঙ্গে রাখা পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।