ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারামুক্তি

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারামুক্তি

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৮ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার। ২৪ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৯১৮- মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন মার্কিন কংগ্রেসে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণে উল্লিখিত চৌদ্দ দফার ওপর ভিত্তি করে জার্মানি অস্ত্রসংবরণে সম্মত হয়।  
১৯৭২- পাকিস্তানের কারাগার থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেওয়া হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির ওপর আক্রমণ শুরু করার পরই ধানমন্ডির বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। তিনি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়। এরপর তিনি লন্ডন হয়ে নয়াদিল্লিতে আসেন ও তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

সেই ১০ জানুয়ারির অপরাহ্ণে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী প্লেনটি যখন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে, তখন অগণিত জনতা মুহুর্মুহু হর্ষধ্বনি ও গগণবিদারি জয় বাংলা স্লোগানে স্বাগত জানায় তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে। বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তখনকার রেসকোর্স ময়দান)। সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জনতার উদ্দেশে দেওয়া প্রথম সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

জন্ম
১৯০৯- ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী।
১৯৩৫- কিংবদন্তিতুল্য মার্কিন সংগীতশিল্পী এলভিস প্রিসলি।
১৯৪২- পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ স্টিফেন হকিং।

তাকে এ সময়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তত্ত্বীয় কসমোলজি আর কোয়ান্টাম মধ্যাকর্ষ হকিংয়ের প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র। ১৯৬০ এর দশকে ক্যামব্রিজের বন্ধু ও সহকর্মী রজার পেনরোজের সঙ্গে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে একটি নতুন মডেল তৈরি করেন। হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাক হোলের ঘটনার মাধ্যমে প্রয়োগ করে দেখান। হকিং ২০০৯ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। তিনি রয়েল সোসাইটি অব আর্টসের সম্মানিত ফেলো এবং পন্টিফিকাল একাডেমি অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য।

১৯৪২- জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইযুমি।
১৯৪৫- বাংলাদেশি কৌতুক অভিনেতা টেলিসামাদ।

মৃত্যু
১৩২৪- ভেনিসের পর্যটক ও বণিক মার্কো পোলো। পশ্চিমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম সিল্ক রোড পাড়ি দিয়ে চীন দেশে পৌঁছানো ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
১৯৩৪- প্রখ্যাত রাশিয়ান সাহিত্যিক আন্দ্রে বেলি।
১৯৫০- প্রভাবশালী অস্ট্রিয়ান অর্থনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ শুম্পটার।
২০১৩- বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ নির্মল সেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।