ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

‘ধরিত্রী বাংলাদেশ’ সম্মাননা পেলেন ৮ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
‘ধরিত্রী বাংলাদেশ’ সম্মাননা পেলেন ৮ বরেণ্য ব্যক্তিত্ব

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন খাতের অবদান রাখায় ‘ধরিত্রী বাংলাদেশ’ সম্মাননা পেলেন ৮ বরেণ্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় তাদের এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। 

শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে দেশের আট বরেণ্য ও বিশিষ্ট নাগরিককে ‘ধরিত্রী বাংলাদেশ বঙ্গাব্দ ১৪২৫ জাতীয় সম্মাননা’ দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রদান করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

 

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- কৃষিতে মতিয়া চৌধুরী, পরিবেশে আবু নাসের খান, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, শান্তিতে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, মানবসেবায় অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, সংস্কৃতিতে জয়পুরহাটের নাসরিন আহমেদ রিনা, শিল্পকলায় অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী এবং মুক্তিযুদ্ধে মফিজুল ইসলাম খান কামাল।  

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, আশা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নওয়াজীশ আলী খান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, অধ্যাপক ড. তাওহীদ রশীদ, ডা. মর্তুজা কামাল।  

ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আজকে যারা সম্মাননা পেলেন তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তারা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে কাজ করেন। তাদের কাজের প্রশংসা করলে ও সম্মাননা করলে সে কাজের উপলব্দি আরো অনেক বেড়ে যায়।

‘তাদের সম্মানিত করলে তারা নিজেরা যেমন কাজ করতে অনুপ্রেরণা পার এবং পরবর্তী প্রজন্ম দেশ ও জাতির জন্য ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হয়। আপনারা আরো বহুদিন নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাধনা অব্যাহত রাখুন। বাংলাদেশকে আপনারা গর্বিত করুন এবং নিজেরা গর্বিত হোন। ’ 

সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমার কানে এখনও বঙ্গবন্ধুর সেই কথা বাজছে, তিনি বলেছিলেন- বাংলার মানুষ যেন না খেয়ে ক্ষুধায় মারা না যায়। পরনে বস্ত্র ও রোগে চিকিৎসা পায়। দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয় এবং উন্নত জীবনের অধিকারী হয়। তিনি আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন কিন্তু তার এই স্বাধীনের উন্নয়ন দেখে যেতে পারেননি।

‘আজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে অনেক দুর্গম পথ হেঁটে আমাদের শিক্ষার আলো, বস্ত্র, চিকিৎসা ও অন্ন যুগিয়ে যাচ্ছেন। সেই অন্ন যোগানোর একটি ক্ষুদ্র অংশে আমাকে যুক্ত করেছিলেন। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তার সহযোগী হতে পেরেছি। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯ 
জিসিজি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।