ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

বিপ্লবী বাঘা যতীনের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
বিপ্লবী বাঘা যতীনের জন্ম

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার। ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৮২- টিপু সুলতান ভারতের মহীশুরের রাজা হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
১৮৫৬- রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গৃহে প্রথম বিধিসম্মত হিন্দু-বিধবা বিবাহ হয়।
১৮৭২- বাংলায় প্রথম নাট্যশালা ন্যাশনাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত এবং দীনবন্ধু মিত্রের নাটক নীল দর্পণ অভিনীত।
১৯১৭- মার্কিন সরকার অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৭০- সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ।
১৯৭২- চাঁদে অ্যাপোলোর শেষ অভিযান অ্যাপোলো-১৭ এর যাত্রা শুরু।
১৯৮৫- ঢাকায় প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন।

জন্ম
১৮৭৯- বাঙালি বিপ্লবী বাঘা যতীন।
তার আসল নাম যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি ভারতে ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেসময় বাংলার প্রধান বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর দলের নেতা ছিলেন বাঘা যতীন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কিছুদিন ‍আেগ কলকাতায় জার্মান যুবরাজের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে তিনি জার্মানি থেকে অস্ত্র ও রসদের প্রশিক্ষণ নেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র বলে পরিচিত ‘জার্মান প্লট’ তারই মস্তিস্কপ্রসূত। সশস্ত্র সংগ্রামের এক পর্যায়ে সম্মুখযুদ্ধে উড়িষ্যার বালেশ্বরে তিনি গুরুতর আহত হন এবং বালাসোর হাসপাতালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

১৯২৮- মার্কিন ভাষাবিদ, যুক্তিবিদ ও দার্শনিক নোয়াম চমস্কি।
নোয়াম চমস্কি ১৯২৮ সালের ৭ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক বক্তা ও অ্যাক্টিভিস্ট পরিচয়ে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাকে আধুনিক ভাষাতত্ত্বের জনক বলা হয়। তিনি বর্তমান বিশ্লেষণ ধারার দর্শনের অন্যতম পুরোধা। ২০০৫ সালে এক জরিপে তিনি ওয়ার্ল্ডস টপ পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল নির্বাচিত হন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি সারাবিশ্বে বুদ্ধিজীবীদের অনুপ্রেরণা। তার কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণিত, সংগীত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানসহ বিচিত্র বিষয়কে প্রভাবিত করছে প্রতিনিয়ত।

মৃত্যু
১৭৮২- মহীশুরের বীর যোদ্ধা হায়দার আলী।
১৯৯১- বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ আতাউর রহমান খান।
২০১৪- বাংলাদেশের খলনায়ক খলিল উল্লাহ খান।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।