ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

খুলনায় শীতের আগমনী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
খুলনায় শীতের আগমনী শীত উঁকি দিচ্ছে প্রকৃতিতে

খুলনা: বাতাস এখন হিম। প্রকৃতিতে ছাতিম আর শিউলি ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ। চিরচেনা এই গন্ধই প্রকৃতিকে জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।

ভোরের শিশির ভেজা ঘাস ও কাঁচা-পাকা ধানের শীষে মুক্তদানা জলকণা জানান দিচ্ছে আসছে শীত। দীর্ঘ রাতের কুয়াশার আবরণ আর সকালের শিশিরবিন্দু দেখে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতোই বলতে হয় 'দুয়ারে আসিছে শীত; বরি লও তারে...।

'

দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের ঘন কুয়াশা বলে দিচ্ছে- শীত আর দূরে নেই। এর মধ্যে অনেকেই আলমারি থেকে শীতবস্ত্র বের করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। গায়েও চাপিয়েছেন কেউ কেউ। শীত বরণ করার এ-ও এক প্রস্তুতি।

শীত উঁকি দিচ্ছে প্রকৃতিতেগ্রামাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে এরইমধ্যে। প্রতিদিন নামছে তাপমাত্রা। খুলনা শহরে এখনও সেভাবে শীত অনুভূত না হলেও সন্ধ্যা আর শেষ রাতে শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে। শীত জেঁকে বসার আগেই খুলনায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে।

সকালে দেখা মিলছে সাদা কুয়াশার ভেলা। এই কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের বার্তা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সোনারাঙা রোদ।

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কার্তিকের পর অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ-মাঘ শীতকাল ধরা হলেও এবার শেষ কার্তিকেই শীত আসতে শুরু করেছে।

শীত উঁকি দিচ্ছে প্রকৃতিতেউত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। সকাল-সন্ধ্যে ঘাসের উপর মুক্তোর মতো দেখা যাচ্ছে শিশিরের কণা। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব। গাছ থেকে ঝরছে পাতা, ঝরছে শিউলি ফুল। শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।

নানা আচার, উপহার আর বিড়ম্বনা নিয়ে খুলনাঞ্চলে চুপি চুপি আসছে শীত। দিনর রোদ থাকলেও রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঝারি কুয়াশার আর হিমেল বাতাসে শীতের পরশ অনুভূত হতে শুরু করেছে। ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ।

গ্রামের মেঠোপথে কোমল সূর্যরশ্মিতে ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরবিন্দুগুলো মুক্তোদানার মতো ঝলমল করছে। সে ঘাস অলঙ্কারিত করছে লাল-সাদা শিউলি ফুল। গাছের পাতা থেকে শিশির ঝরে পড়ার টুপটাপ শব্দ আর পাখিদের কলরব আন্দোলিত করছে গ্রামীণ জীবনযাত্রাকে। কী স্নিগ্ধময় গ্রামবাংলার শীতের সকাল।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, খুলনাঞ্চলে কমছে তাপমাত্রা। শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চলে যাওয়ার পর শীতের তীব্রতা বাড়বে।

খুলনার দিগন্তজোড়া মাঠের সবুজ প্রকৃতি এখন সবুজ আর হালকা হলুদ রঙে সেজেছে। শীতের স্বর্গীয় সৌন্দর্য ফুটে উঠছে মাঠে মাঠে। নগরজীবনে কার্তিকের চিরায়ত রূপের দেখা না মিললেও গ্রামে তা সৌন্দর্যের ডালি মেলে ধরেছে।

গ্রামও শহরের হাট-বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, শালগম, ওলকপি, গাজর, টমেটো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা,  নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।