ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

মুজিবনগর সরকারের শপথ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
মুজিবনগর সরকারের শপথ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৭ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার। ০৪ বৈশাখ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৪৯২- ক্রিস্টোফার কলম্বাস স্পেনের সঙ্গে ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ খোঁজার চুক্তি করেন।
১৬২৯- প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু হয়।
১৭৮১- ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদরাসা স্থাপন করেন।
১৮৩৯- গুয়াতেমালা প্রজাতন্ত্র হয়।
১৮৯৯- কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
১৯৪৬- সিরিয়া স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৫৩- কম্বোডিয়া ফরাসিদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭১- বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের ঘোষণার পর এ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা শপথ নেন।

পরে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নাম দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী করা হয়। হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে দেশের জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হলেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুক্তিবাহিনী সংগঠন ও সমন্বয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় এবং এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহায়তাকারী রাষ্ট্র ভারতের সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রক্ষায় এই সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এই মুজিবনগর সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ প্রবল যুদ্ধে রূপ নেয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়।

জন্ম
১৬৭৬- সুইডেনের রাজা প্রথম ফ্রেডরিক।
১৮১৭- শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক স্যার সৈয়দ আহমদ খান।
তিনি ভারতের মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন। তিনি এ কাজের জন্যই মোহামেডান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তী সময়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে। তার চিন্তাধারা ও কাজকর্ম সেখানকার মুসলিমদের মধ্যে একটি নতুন চেতনার জন্ম দেয়। তার প্রভাবে প্রভাবান্বিত এই মুসলিম বুদ্ধিজীবীরাই পরবর্তীতে আলিগড় আন্দোলনের সূচনা করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় রাজনীতিতে মুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করা।

১৮৩৮- বাঙালি কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৮৯৪- রুশ জননেতা ও সাবেক সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী নিকিতা ক্রুশ্চেভ।

মৃত্যু
১০৮০- ডেনমার্কের রাজা তৃতীয় হেরাল্ড।
১৭৯০- মার্কিন সাংবাদিক, রাজনীতিজ্ঞ ও বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।