ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

মোবাইল ফেরিওয়ালা চীনা তরুণী

মো. রাজীব সরকার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
মোবাইল ফেরিওয়ালা চীনা তরুণী ব্যাগে মোবাইল নিয়ে ঘুরে ঘুরে ফেরি করেন চীনা যুবতী

লেইস ফিতা, কাচের চুড়ি অথবা জামা-কাপড় কিংবা খাদ্যপণ্য ফেরি করে বিক্রি হয় হরহামেশাই। গ্রাম-গঞ্জ, শহর, বাস টার্মিনাল বা লঞ্চ ঘাটে ফেরিওয়ালার হাঁকডাক প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু ফেরি করে মোবাইল বিক্রির কথা কে শুনেছে কবে!

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। গত সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে দেখা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকায় কাঁধে ব্যাগ নিয়ে শার্ট-প্যান্ট ও মাথায় ক্যাপ পরা চীনের এক নাগরিক হেঁটে হেঁটে ফেরি করে মোবাইল বিক্রি করছেন।

 

ফেরি করে মোবাইল বিক্রি করা ওই তরুণীর কাঁধের ব্যাগে রয়েছে নোকিয়া ও স্যামসাং কোম্পানির মোবাইল ফোন। একটি নোকিয়া বেসিক ফোন বিক্রি করছেন ১২শ’ টাকায় এবং স্যামসাং কোম্পানির ৪ ক্যামেরাযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বিক্রি করছেন মাত্র ৫ হাজার টাকায়।  

দাম কম দেখে চীনা তরুণীকে ঘিরে ভিড়ও বেড়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে অল্পসময়ের মধ্যে প্রায় ৭/৮টি মোবাইল বিক্রি করে ফেলেন তিনি। চীনের ওই তরুণী যৎসামান্যই বাংলা জানেন। মুখে বলছেন কেবল মোবাইলের দামটাই। আর কিছু তিনি বলতে পারছে না।

এলাকাবাসী জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী ও দেওয়ালিয়াবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চীন থেকে আসা কিছু তরুণ-তরুণীরা ফেরি করে মোবাইল ফোন বিক্রি করছেন। তারা পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে মোবাইল নিয়ে। তাদের বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো। দাম কম থাকায় ক্রেতারা ভিড় করে প্রয়োজন মতো মোবাইল ফোন কিনে নিচ্ছেন। তবে স্থানীয়দের ধারণা চীন থেকে তারা মোবাইল নিয়ে আসছেন বাংলাদেশে। আর সেগুলো ফেরি করে বিক্রি করছেন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে। শুল্ক ফাঁকি দেওয়ায় বাজারের চেয়ে কম দামে মোবাইল বিক্রি করতে পারছেন তারা।

শহিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা জানান, কয়েক দিন ধরে কোনাবাড়ী ও দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকায় ফেরি করে চীনা তরুণ-তরুণীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে ফেরি করে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন বিক্রি করছেন। তারা এক জায়গায় বেশি সময় থাকেন না। দাম কম পেয়ে গ্রাহকরা তাদের কাছ থেকে মোবাইল কিনছেন।

আসাদুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, নোকিয়া ব্র্যান্ডের একটি লাল রঙের মোবাইল কিনেছি মাত্র ১২শ’ টাকা দিয়ে। বাজারে এটার দাম ৩ হাজার টাকা। সিম কার্ড ঢুকিয়ে মোবাইলটি পরীক্ষা করে দেখেছি, কোনো সমস্যাও নেই!

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
আরএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।