ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

নগরের সংস্কৃতির ঢেউ হাতিরঝিলের লাল-নীল জলে

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৯
নগরের সংস্কৃতির ঢেউ হাতিরঝিলের লাল-নীল জলে হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে মহানগর সাংস্কৃতিক উৎসব, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: যন্ত্রের শহর ঢাকায় স্বস্তির আরেক নাম হাতিরঝিল। নগর জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ বলতেই শহরবাসীর কাছে এখন মনোরম পরিবেশের হাতিরঝিলই ভরসা। এবার সে পরিবেশকে আরো উপভোগ্য করলো শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক উৎসব।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘মহানগর সাংস্কৃতিক উৎসব’। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম এবং উদ্বোধনী দিনের আয়োজন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাইদ মো. মাসুদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে মহানগর সাংস্কৃতিক উৎসব, ছবি: ডিএইচ বাদললিয়াকত আলী লাকী বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন সময় একমঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করলেও রাজধানীবাসীর তা উপভোগ করতে হয় বিভিন্ন মঞ্চে। তবে সেগুলোর মধ্যে হাতিরঝিলের এ অ্যাম্ফিথিয়েটারের আয়োজন বেশ মনোরম।

এছাড়া আগামী ৫ বছরের মধ্যে হাতিরঝিলের বিপরীত পাশেই একটি অপেরা হাউস নির্মাণ হবে বলেও জানান লিয়াকত আলী লাকী।

উদ্বোধনী আয়োজন শেষ হতেই মঞ্চের লাল নীল আলোয় রাঙা হয়ে ওঠে লেকের পানি। সেই সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে হাতিরঝিলের পানির ঢেউয়ে উচ্ছলিত হয় যন্ত্রসঙ্গীতের সুর। এরপর শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে সঙ্গীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পী সেজুতি।
হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে মহানগর সাংস্কৃতিক উৎসব, ছবি: ডিএইচ বাদল‘দুঃখিনি বাংলা’ এবং ‘বসন্ত বাতাসে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য শিল্পীরা এবং অনিক বোস। অ্যাক্রোবেটিক শো পরিবেশন করেন শিল্পকলার অ্যাক্রোবেটিক দল।

নৃত্য পরিবেশন করেন ওয়ারদা, ওয়ারদা রাহ্যাব ও ওয়াসেক দল। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন রোকসানা রূপসা, সমীর বাউল, ঐশি, তানভীর আলম সজীব, দিনাত জাহান মুন্নী ও ঝিলিক। লোকনাট্যদল পরিবেশন করে তাদের নাটক মুজিব মানে মুক্তি। আর এ সব মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নিয়ে আয়োজন চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

আগামী দু’দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।