ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

জিমি ওয়েলসের জ্ঞান সমুদ্র

শেরিফ সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১১
জিমি ওয়েলসের জ্ঞান সমুদ্র

ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বিপাকে থাকে সবাই। একটা সময়ে তো সবার বইয়ের পর বই পড়ে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে হতো।

কিন্তু ইন্টারনেট সবকিছুকেই প্রতিদিন সহজ করে দিচ্ছে। তথ্যকে সবার হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিচ্ছে ইন্টারনেট। তথ্যকে আরো সমৃদ্ধ করতে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে তৈরি হচ্ছে একের পর এক ওয়েবসাইট। তেমনই তথ্য নির্ভর কিংবা বলা যায় জ্ঞান চর্চার ওয়েবসাইট উইকিপিডিয়া।

উইকিপিডিয়া মূলত মুক্ত তথ্যনির্ভর (ওপেন সোর্স কনটেন্ট) সাইট। এ সাইটটি চলে পৃথিবীর সব মানুষের সহযোগিতায়।

ইন্টারেকটিভ মাধ্যম হয়ে যাওয়া উইকিপিডিয়ার জনপ্রিয়তা এখন পৃথিবীব্যাপী। জ্ঞানপিপাসু মানুষগুলোর জন্য এ ধরনের সাইটটির উদ্ভাবকের নাম অনেকরই অজানা। উইকিপিডিয়ার জন্মদাতা হচ্ছেন জিমি ওয়েলস।

উইকিপিডিয়া প্রকাশ হয় ২০০১ সালের ১৫ জানুয়ারি। ২০০১ সালে প্রকাশ হলেও তারও আগের একটি গল্প আছে। গল্পটি হলো ১৯৯৯ সালের। জিমি ও তার বন্ধুরা মিলে ‘নিউপিডিয়া’ নামের মুক্ত তথ্যনির্ভর একটি অনলাইন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছিলেন। গুটিকয়েক ভলান্টিয়ার নিয়ে তারা নিউপিডিয়া সাইটটি পরিচালনা করতেন। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী সফলতা তারা পাচ্ছিলেন না। এরপর তারা একমত হন যে ‘উইকি সফটওয়্যার’ ব্যবহার করে এডিটিং উন্মুক্ত করে দেবেন। তারা তখন ‘উইকিপিডিয়া’ নাম দিয়ে আবার ওয়েবসাইটটি শুরু করেন। উন্মুক্ত হওয়ার পর পৃথিবীব্যাপী অসংখ্য মানুষ জ্ঞান ভাগাভাগি করতে উৎসাহিত হলো।  

২০০১ সাল থেকে ধীরে ধীরে উইকিপিডিয়ার জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। তবে মজার বিষয় হলো জিমি তথ্য প্রযুক্তি জগতের কোন ব্যক্তি নন। তিনি বিশেষজ্ঞও নন।   ১৯৬৬ সালের ৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আমবালায় জন্মগ্রহণ করা জিমি র‌্যানডলফ স্কুলে পড়াশোনা করেন। উচ্চতর শিক্ষা নেন ফিন্যান্সে । চাকরি জীবন শুরু করেন শিক্ষকতা পেশা দিয়ে। তবে পিএইচডি ডিগ্রি শেষ হওয়ার আগেই তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে শিকাগোর একটি গবেষণাগারের পরিচালক পদে যোগ দেন। এরপর ১৯৯৬ সালে দুই বন্ধু মিলে শুরু করেন বোমিস নামে বিনোদন নির্ভর একটি ওয়েবসাইট। বোমিস থেকেই তারা নিউপিডিয়ার চিন্তা করেন; এবং পরবর্তীতে উইকিপিডিয়ার তৈরি করেন।

উইকিপিডিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জিমি বলেন, ‘এর সমস্ত প্রশংসা প্রাপ্য স্বেচ্ছায় যারা উইকিপিডিয়ার জন্য তথ্য লিখে চলেন। তাঁদের ছাড়া এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। ‘

উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জিমির নাম বলা হলে তিনি এর তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠাতা নই। আমিই হলাম উইকিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। ’

উইকিপিডিয়ার সম্পূর্ণ নন-প্রফিট ওয়েবসাইট। এ ধরনের উদ্যোগের জন্য ২০০১ সালে বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন জিমিকে ‘দ্যা ওয়ার্ল্ড মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল পিপল’ উপাধি দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।