ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

বিপিন পালের জন্ম-অশ্বিনী দত্তের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৮
বিপিন পালের জন্ম-অশ্বিনী দত্তের প্রয়াণ বিপিন পাল ও অশ্বিনী দত্ত

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

৭ নভেম্বর, ২০১৮, বুধবার। ২৩ কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৬৬৫- ব্রিটেনের সরকারি প্রকাশনা দ্য লন্ডন গেজেটের প্রথম প্রকাশ।
১৮৬২- মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ব্রিটিশদের হাতে বন্দি অবস্থায় রেঙ্গুনে (ইয়াঙ্গুন) মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৮৯- কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত পূর্ব জার্মান সরকারের ইস্তফা।
১৯৮৮- আর্মেনিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে অর্ধ লক্ষাধিক লোকের মৃত্যু।

জন্ম
৯৯৪- প্রখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ইবনে হাজম।
১৭২৮- ব্রিটিশ নৌ-সেনাপতি ও আবিষ্কারক ক্যাপ্টেন জেমস কুক।
১৮৫৮- বাঙালি রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও লেখক বিপিন চন্দ্র পাল।

ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি অনলবর্ষী বক্তৃতা দিতেন। তার আহ্বানে হাজার হাজার তরুণ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

সিলেটের এক ধনী কায়স্থ পরিবারে জন্ম নেন তিনি। তার পিতা রামচন্দ্র পাল ছিলেন একজন গ্রাম্য জমিদার এবং সিলেট বারের প্রভাবশালী সদস্য। বিপিন এন্ট্রেন্স পরীক্ষা পাস করেন সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এরপর তিনি প্রসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু সেখান থেকে পাস করার আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দেন।

১৮৬৭- নোবেল জয়ী পোলিশ-ফরাসি বিজ্ঞানী মারি কুরি।
১৮৭৯- সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজান্ত্রিক বিপ্লবী লিওন ত্রোতস্কি।
১৮৮৮- ভারতীয় নোবেলজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানী স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন।
১৯১৩- নোবেল জয়ী ফরাসি সাহিত্যিক অ্যালবার্ট কাম্যু।

মৃত্যু
১৮৬২- মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর।
১৯২৩- বাঙালি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক অশ্বিনীকুমার দত্ত।

বরিশালের গৌরনদীর অশ্বিনীকুমার পেশায় ছিলেন শিক্ষক। মানবপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে ভূমিকার জন্য তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। সমাজের কল্যাণ এবং উন্নয়নের প্রতি গভীরভাবে নিবেদিত হয়ে তিনি বরিশাল শহরের মধ্যে নিজের দান করা জায়গায় ব্রজমোহন বিদ্যালয় ও ব্রজমোহন কলেজ (বিএম কলেজ) প্রতিষ্ঠা করেন। সহিষ্ণু সমাজসেবা তাকে স্থানীয় জনগণের কাছে খুবই প্রিয় করে তোলে। তিনি এমন জনসমর্থন লাভ করেন, যা তাকে ১৯০৫-১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় সংকীর্ণ জেলা পর্যায় থেকে বৃহত্তর প্রাদেশিক রাজনৈতিক অঙ্গনে নিয়ে যায়।

একজন কংগ্রেস সদস্য হিসেবে বরিশালে আলাদা সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে তিনি শহরের দ্বন্দ্ব-কলহ এবং উদারপন্থী ও চরমপন্থী দ্বন্দ্ব হতে নিজেকে সতর্কতার সঙ্গে দূরে রাখেন। অশ্বিনীদত্ত এ উদ্দেশে তার নেতৃত্বাধীন স্বদেশ বান্ধব সমিতির নামে গড়ে তোলা স্বদেশী স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্যে বরিশালকে স্বদেশী আন্দোলনের একটি শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণত করেন। সেজন্য তাকে বরিশালে গ্রেফতার করা হয়। তিনি দু’বছর পর্যন্ত লক্ষ্মৌ জেলে বন্দি ছিলেন। স্বদেশবান্ধব সমিতির মুখপাত্র হিসেবে বরিশাল হিতৈষী প্রকাশের পেছনে তিনি সহায়ক ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।