ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

পৃথিবীর কিছু পরাবাস্তব স্থান

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
পৃথিবীর কিছু পরাবাস্তব স্থান পৃথিবীর কিছু পরাবাস্তব স্থান

ঢাকা: প্রকৃতির বৈচিত্র্যের যেন শেষ নেই। সুন্দরের পাশাপাশি প্রকৃতিকে হয়ে উঠতে দেখা যায় ভয়ংকরও। সেই সঙ্গে প্রকৃতিতে স্থান পেয়েছে যেন পরাবাস্তবতাও। 

এ পৃথিবীরই কিছু বিস্ময়কর স্থান দেখলে মনে সন্দেহ জাগবে, এগুলো কি বাস্তব নাকি অবাস্তব? মানুষের কল্পনাকেও হার মানানো এরকম বিস্ময়কর কিছু স্থান নিয়ে এবারের আয়োজন।  

১. লেক ন্যাট্রন
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার উত্তর সীমান্তে অবস্থিত লেক ন্যাট্রন।

উচ্চমাত্রায় লবণ, সোডা ও অন্যান্য যৌগের উপস্থিতিতে এ লেকের রং লাল। অনন্য সুন্দর এ লেককে স্বর্গের সঙ্গেও তুলনা করা হয়। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, প্রায়ই এ লেকের আশপাশে মৃত প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়, যেগুলো অনেকটা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে। গবেষকরা মনে করেন, লেকের বিচিত্র রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবেই এমনটা ঘটে।

লেক ন্যাট্রন

২. ডারউইজ
সদা জ্বলন্ত এ গহ্বরটির তুর্কমেনিস্তানে অবস্থিত। ১৯৭১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন গ্যাসের খোঁজে এ স্থানটিতে খনন কাজ চালায়। কিছুদূর খনন করার পর সেখানে বিষাক্ত গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর খনন কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। আর বিষাক্ত গ্যাস পুড়িয়ে ফেলার জন্য ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ৪৬ বছর ধরে এ আগুন জ্বলছে।

ডারউইজ

৩. গ্র্যান্ড প্রিজমাটিক স্প্রিং
এটা যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম উষ্ণ ঝরনা। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োমিং অঙ্গরাজ্যের ইয়োলো স্টোন ন্যাশনাল পার্কে এটি অবস্থিত। পানিতে প্রচুর পরিমাণে পিগমেন্টেড ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতে লেকটি পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন রং- লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ ও নীল রং ধারণ করে থাকে।

গ্র্যান্ড প্রিজমাটিক স্প্রিং

৪. মাটির নিচের সৈকত
মাটির নিচের এই সমুদ্র সৈকতটি প্রাকৃতিক নয়। মেক্সিকো সেনাবাহিনীর বোমা পরীক্ষার ফলে সৃষ্টি হয়েছে অদ্ভুত স্থানটি। মেক্সিকোর মারিয়েতাস দ্বীপে এর অবস্থান। পর্যটকদের জন্য এটি একটি লোভনীয় জায়গা।

মাটির নিচের সৈকত 

৫. ফ্লে গেসার
ষাটের দশকে নেভাডায় একটি কূপ খনন করার সময় দুর্ঘটনায় সৃষ্টি হয় এ বিস্ময়কর ঝরনাটি। এরপর কূপটি ভালোভাবে ঢেকে দেওয়া না হলে, এর উপরিভাগ থেকে বুদবুদ আকারে বের হয়ে আসছে পানি।

ফ্লে গেসার 

বাংলাদেশ সময়: ০০১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।