ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

 ছন্দবিশারদ প্রবোধচন্দ্র সেনের মৃত্যু

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
 ছন্দবিশারদ প্রবোধচন্দ্র সেনের মৃত্যু প্রবোধচন্দ্র সেন।

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, বুধবার। ৫ আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা
১৬২০ - তুরস্কের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয় পোল্যান্ড।
১৮৩১ - বাষ্পচালিত প্রথম বাস নির্মাণ করা হয়।
১৮৫৪ - অবিভক্ত বাংলায় প্রথম ডাকটিকিট বিক্রি শুরু হয়। ডাকটিকেটের চিত্রশিল্পী ছিলেন নুমারউদ্দীন।
১৮৫৭– সিপাহী বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহীদের হাত থেকে ব্রিটিশ সেনারা দিল্লি পুনর্দখল করে নেয়।
১৮৭০ - ইতালির সেনাবাহিনী ফ্রান্সের কাছ থেকে রোম শহর দখল করে।
১৯৬৪ - আফগানিস্তানের জাতীয় সংসদ নতুন সংবিধান অনুমোদন করে।
১৮৬৭ - হাঙ্গেরিকে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে একীভূত করে বৃহৎ অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্য গঠন করা হয়।
১৯৭০ - সোভিয়েত রকেট লুনা-১৬ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে।
১৯৯২ - আহসান মঞ্জিল জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়।
২০০৫ - যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবায় হ্যারিকেন রিটার তাণ্ডব।

জন্ম
১৪৮৬ - ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরির পুত্র আর্থার।
১৮৩৩ - নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইতালির মানব-হিতৈষী এর্নেস্তো তিওদোরো মনেতা।
১৯৪৩ - নাইজেরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি সানি আবাচা।


মৃত্যু
১২৪৬ - কিয়েভের শাসক মিখাইল।
১৮৬৩ - জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ ও পুরাণবেত্তা ইয়াকপ গ্রিম।
১৯৭১ - নোবেলজয়ী গ্রিক কবি জর্জ সেফেরিস।
১৯৭৫ - নোবেলজয়ী ফরাসি সাহিত্যিক স্য জন পেরস।
১৯৮৬ - ছন্দবিশারদ, ঐতিহাসিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ প্রবোধচন্দ্র সেন। জন্ম কুমিল্লার মনিয়ন্দ গ্রামে ২৭ এপ্রিল ১৯৯৭। আদি নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের চুন্টা গ্রামে। ১৯২২ সালে কলেজে পড়ার সময়ে তিনি ‘বাংলা ছন্দ’ শীর্ষক একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখেন, যা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-এর প্রশংসা ও সম্মতি লাভ করে ধারাবাহিকভাবে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।  

প্রবোধচন্দ্র সেনের ছন্দবিষয়ক এ প্রবন্ধ পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রশংসা করেন এবং ‘ছান্দসিক’ বলে অভিহিত করেন। বাংলা ছন্দ বিষয়ক তাঁর গ্রন্থগুলির মধ্যে বাংলা ছন্দে রবীন্দ্রনাথের দান (১৯৩১), ছন্দোগুরু রবীন্দ্রনাথ (১৯৪৫), ছন্দ পরিক্রমা (১৯৬৫), ছন্দ-জিজ্ঞাসা (১৯৭৩), বাংলা ছন্দচিন্তার ক্রমবিকাশ (১৯৭৮), ছন্দ সোপান (১৯৮০), আধুনিক বাংলা ছন্দ-সাহিত্য (১৯৮০), বাংলা ছন্দে রূপকার রবীন্দ্রনাথ (১৯৮১), নূতন ছন্দ পরিক্রমা (১৯৮৫) প্রধান। সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রবোধচন্দ্র সেন বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলি পুরস্কার লাভ করেন।  

তার মধ্যে প্রফুল­স্মৃতি পুরস্কার (১৯৬৯), বঙ্কিমস্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৫), কেশবচন্দ্র গুপ্ত স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৮), ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি (১৯৮০), কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ডিলিট (১৯৮৩), উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ডিলিট (১৯৮৩) এবং এশিয়াটিক সোসাইটির পক্ষ থেকে মরণোত্তর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী স্মারক পদক (১৯৮৭) উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এনএইচটি/এএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।